দীপঙ্কর মণ্ডল: নিয়োগপত্র, টেট পাশের শংসাপত্র-সহ প্রায় ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নথি তলব করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালের টেট-এর মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। মঙ্গলবার রাজ্যের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিতে এই জরুরি বিজ্ঞপ্তি পৌঁছেছে। ১১ জুলাই এই নির্দেশ জারি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি। অন্যদিকে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলার জনস্বার্থ মামলাকে গ্রহণযোগ্যতাকে মান্যতা দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা ২০১৪ সালের টেটের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া সবার নথি তলব করে। সেইমত জেলা সংসদগুলিকে বলা হয়েছে, ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে ৪২ হাজার ৯৪৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের সমস্ত নথি পাঠাতে হবে। প্রত্যেক প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগপত্র, টেট শংসাপত্র, মাধ্যমিক পাসের শংসাপত্র, বয়সের প্রমানপত্র, শিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রমান, জাতিগত শংসাপত্র-সহ ১২ দফা নথি খতিয়ে দেখবে সিবিআই। প্রতিটি নথির ফটোকপিতে স্বাক্ষর করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে জমা দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। সেই নথি secretary.wbbpe@gmail.com ইমেল আইডিতে পাঠাতে হবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ৪২ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। তাই জরুরি ভিত্তিতে এক্সেল শিট-এ নিয়োগ হওয়া সব শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত নথি অনলাইনে পাঠাতে হবে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শৃঙ্খলা রক্ষায় দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেকের, দিলেন হোম ওয়ার্কও]
এদিকে ২০১৪–র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা খারিজের আরজি জানায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, এত বছর পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আট বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। মামলা খারিজের আবেদন জানায় রাজ্য। মামলাকারীদের দাবি, পরীক্ষার আট বছরের মাথায় যদি নিয়োগ হয় তাহলে মামলা হবে না কেন? সেই মামলা গ্রহণ যোগ্য বলে জানাল আদালত।