গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থীর অভিযোগে উঠে আসা রহস্যময় ফোন নম্বরের প্রসঙ্গে মুখ খুলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই নম্বর পর্ষদের কারও নয়। জেলার কারও হতে পারে বলেই মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। সিবিআইয়ের দাবি, ওই নম্বরটি সম্ভবত নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের। ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। কার নির্দেশে তিনি ফোন করে চাকরির কথা বলেন, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শিল্পা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার্থী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, ‘‘পর্ষদের অফিস থেকে বলছি। আপনি কি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন? চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে আসতে হবে। দেখাও করতে হবে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে।’’ কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলছেন তা অবশ্য যিনি ফোন করেছিলেন তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। তবে মনে করা হচ্ছে যেহেতু শিল্পা টেট পরীক্ষার্থী ছিলেন তাই হয়তো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কথাই বলবেন।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের উপর ভরসা নয়, এবার জব কার্ড থাকলেই কাজ দেবে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর]
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে অভিযোগ শুনেই মামলাটির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন, সিবিআইকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কবে, কোথা থেকে, কে ওই ফোন করেছিলেন তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খতিয়ে দেখতে হবে। এমনকি, ওই ফোনের কল রেকর্ডিংও সিবিআইকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রহস্যময় নম্বরের প্রসঙ্গে মুখ খুলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই নম্বর পর্ষদের কারও নয়। জেলার কারও হতে পারে বলেই মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রাথমিকভাবে মনে করছে, ওই নম্বরটি সম্ভবত নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের।