স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতামান নির্ধারণের পরীক্ষা অর্থাৎ টেট (TET)। ভুয়ো পরীক্ষার্থীর অনুপ্রবেশ আটকাতে এবার বায়োমেট্রিকের সাহায্য নিতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বায়োমেট্রিকের সাহায্যে চোখের মণি (আইরিস) বা আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) এবং মুখাবয়ব শনাক্তকরণের মাধ্যমে প্রতিটি পরীক্ষার্থীর পরিচয় যাচাই করা হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সংস্থাগুলির থেকে আগ্রহপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এই প্রথমবার রাজ্যের কোনও চাকরির পরীক্ষায় বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই ও অ্যাটেন্ডেন্স নেওয়া হবে।
শুধু বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই নয়। গোটা পরীক্ষাটি যাতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হয় তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্ছিদ্র করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসিটিভি-র মাধ্যমে নজরদারি ও হাতেধরা মেটাল ডিটেক্টরের (এইচএইচএমডি) মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই তিনটি পরিষেবা দেওয়ার জন্য আগামী ২৮ অক্টোবর দুপুর তিনটে পর্যন্ত অনলাইনে আগ্রহপত্র জমা নেবে পর্ষদ।
[আরও পড়ুন: টাটকা ‘আমফানে’র স্মৃতি, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় কোমর বাঁধছে উপকূলীয় জেলা প্রশাসন]
এপ্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আমরা পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রাখতে চাই না। একেবারে নিয়ম মেনে, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নিতে চাই। তা নিশ্চিত করতে কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলি বাস্তবায়িত করার জন্য নিরাপত্ত সংক্রান্ত পরিষেবা দেওয়ায় অভিজ্ঞ সংস্থাগুলির থেকে আগ্রহপত্র চেয়েছি। তবে, গোটাটাই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’’
আগ্রহপত্রের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও সেগুলি পরিচালনার দায়িত্বে কর্মী রাখতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশ ও বাহির পথে দু’টি, পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি ক্লাসরুমে একটি করে এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমে একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। পরীক্ষা শুরুর অন্ততপক্ষে ১ ঘণ্টা আগে শুরু করে দিতে হবে সিসিটিভি নজরদারি। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষার পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্তদের হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করতে হবে। মহিলা প্রার্থীদের জন্য মহিলা কর্মী দিয়ে একটি আলাদা ঘেরা জায়গায় তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে। কাউকেই পরিচয়পত্র ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না।