দীপঙ্কর মণ্ডল: অপসারিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (West Bengal Council of Higher Secondary Education) সভাপতি মহুয়া দাস। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। যদিও মহুয়া দাস এখনও চিঠি পাননি বলেই খবর।
চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2021) ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা ছাড়া বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ হওয়ায় এ বছর কোনও মেধাতালিকা ছিল না। তবে সর্বোচ্চ নম্বর জানায় সংসদ। আর তা বলতে গিয়েই সভানেত্রী মহুয়া দাস বলেছিলেন, “সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। পরিসংখ্যান যতটা দেখেছি, তাতে এই নম্বর একজনই পেয়েছে। মুর্শিদাবাদের এক মুসলিম কন্যা।” সংসদ সভাপতির এই মন্তব্য নিয়ে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, কেন ধর্মের উল্লেখ করা হল। পরবর্তীতে মহুয়াদেবী মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। বলেন, “আমি আবেগের বশে বলে ফেলেছি।” এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলবিভ্রাট নিয়ে তীব্র অশান্তি হয়েছে রাজ্যে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। রিভিউতে বহু পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে। যার জেরে প্রশ্ন উঠেছিল সংসদের ভূমিকা নিয়ে। চাপ বেড়েছিল মহুয়া দাসের উপর।
[আরও পড়ুন: কার অনুমতিতে ‘বিজেমূল’ শব্দ নিয়ে প্রচার? Yechury-র রুদ্রমূর্তি দেখে ভুল স্বীকার করলেন Surjyakanta]
এই টানাপোড়েনের মাঝেই অপসারিত সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। জানা গিয়েছে, তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। আগামী চারবছর ওই পদে বহাল থাকবেন তিনি। তবে এখনও অপসারণ নিয়ে মহুয়া দাসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। উল্লেখ্য, ধর্ম বিতর্কের জেরে শোকজ করা হয়েছিল মহুয়া দাসকে। কেন তিনি উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া রুমানার ধর্ম উল্লেখ করেছেন, তার কৈফিয়ৎ তলব করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময় কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল ইস্তফা দিতে পারেন মহুয়া দাস।