ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর ডাক্তার নন আর জি করের অপসারিত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ(Sandip Ghosh)। তাঁর ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল। বৃহস্পতিবার এই মর্মে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে। একে তো বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন সন্দীপ। তার উপর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই চাপে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
সিবিআইয়ের হাতে দুর্নীতি ও খুন-ধর্ষণের জোড়া মামলায় ধৃত সন্দীপ ঘোষ। গত শুক্রবার তাকে শোকজ করেছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপকে বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল ১৯১৪, সাবসিকোয়েন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ২৫(এ)(২) অ্যাক্ট-এর অ্যাপ্লায়েড মেডিক্যাল কাউন্সিল ৩৭(৩) ধারায় শোকজ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল নোটিস ইস্যু করার তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। জবাব না দিলে অথবা সন্তোষজনক না হলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
বুধবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কাউন্সিল সভাপতি বিধায়ক ডা. সুদীপ্ত রায় দপ্তরে এসেই দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
মেডিক্যাল কাউন্সিল সূত্রে খবর, সন্দীপের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তে অধিকাংশ সদস্য অনুমোদন দেন। কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী জানান,
"আমরা কোনও জবাব পাইনি। সুদীপ্তবাবুর নির্দেশ মেনেই আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়।" কী কী কারণে একজন চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায় সেই কারণ ব্যাখ্যা করেন মানসবাবু। তিনি জানান, কেউ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত হলে এবং ভয়ঙ্কর অপরাধমূলক কোনও ঘটনার সঙ্গে নাম জড়ানোয় সমাজে যদি অভিযুক্তের মারাত্মক বদনাম (ইনফেমাস কন্ডাক্ট) হয়, তবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশনের বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে অভিযুক্ত যদি ক্লিনচিট পেয়ে যান, তবে রেজিস্ট্রেশন ফিরিয়ে দেওয়াই নিয়ম।