সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থ স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে নতুন ভারত তৈরির কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে। গোরক্ষপুরের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ নরেন্দ্র মোদির। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়ে ছিল কেন্দ্র সরকারের সাফল্যের খতিয়ান। নোট বাতিল, জিএসটি থেকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, লালকেল্লায় মোদির ভাষণে জায়গা করে নিয়েছিল এসব। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু নির্বাচিত অংশ।
[রকেট ছেড়ে গানে মন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ইসরোর বিজ্ঞানীরা]
নতুন ভারতের স্লোগান
২০১৮ সালের পয়লা জানুয়ারি কোনও সাধারণ দিন নয়। যারা এই শতাব্দীতে জন্মেছেন তাদের বয়স তখন ১৮ হবে। তারাই ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। এগিয়ে আসুন, নয়া ভারত গড়ুন। ২০২২-এ নতুন ভারতের জন্য সঙ্কল্প নিতে হবে। যে দেশে সন্ত্রাস, জাতিভেদ, দুর্নীতি থাকবে না। যেখানে সবাই সমান সুযোগ পাবে। চলছে, চলবের দিন চলে গিয়েছে। এখন বদলাতে হবে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে তা প্রমাণিত। কোনও কিছুতেই আর ভারত পিছিয়ে নেই। ৯ মাসের মধ্যে আমরা মঙ্গলে পৌঁছতে পারি।
হিংসার বিরুদ্ধে জেহাদ
জাতপাত ও সম্প্রদায়ের লড়াই বন্ধ করতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। হিংসা করে কখনও উন্নয়ন হয় না। ভগবান বুদ্ধ ও গান্ধীর দেশে হিংসা চলবে না। দেশে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই। যারা শান্তির নামে হিংসা ছড়াচ্ছে তারা সাবধান। ধর্মের মোড়কে হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়।
কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক
দেশের উন্নয়নে রাজ্যগুলির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অবদান রয়েছে।
এখন কেন্দ্র-রাজ্যের বিবাদ অনেক কমেছে। বিভিন্ন রাজ্যকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
গোরক্ষপুরের শিশুমৃত্যু
হাসপাতালে নিষ্পাপ শিশুদের মৃত্যু বেদনাদায়ক। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে।
কালো টাকা
কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে। এখন সততার উৎসব চলছে, মুখ লুকোচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্তরা। প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। কালো টাকা উদ্ধারে অন্যান্য দেশও সাহায্য করেছে। তাদের ধন্যবাদ।
নোট বাতিল ও জিএসটি
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশবাসী। সাফল্যও মিলেছে। ১৮ লক্ষ মানুষের আয় হিসাব বর্হিভূত। এক লক্ষ মানুষ কখনও কর দিতেন না। তাদের খোঁজ মিলেছে। ৩ লক্ষ ভুয়ো সংস্থার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ১লক্ষ ৭৫ হাজার ভুয়ো সংস্থা বন্ধ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত করদাতাদের সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। জিএসটি গোটা দুনিয়ার কাছে বিস্ময়। উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে দেশ।
সেনার জয়গান
৩০ বছর ধরে এক পদ এক পেনশন প্রয়োগ হয়নি। সেনাদের অধিকার ফেরাতে সরকার দায়বদ্ধ। দেশের বলিদানে সেনাদের ভূমিকা চিরস্মরণীয়।
উপত্যকার জন্য
জম্মু কাশ্মীরের মানুষের স্বপ্নপূরণে সরকার দায়বদ্ধ। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতবাদীদের সংখ্যা মুষ্টিমেয়। অস্ত্র ছেড়ে জীবনের মূলস্রোতে ফিরুন। গালি বা গুলি নয়, আলিঙ্গনে মিটবে সমস্যা।
নারী ক্ষমতায়ন
তিন তালাকের বিরুদ্ধে এখন লড়ছেন মহিলারা। নারী উন্নয়নে এটি বড় অধ্যায়। মহিলাদের উন্নয়নে সরকার দায়বদ্ধ। মাতৃত্বকালীন ছুটি এখন ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে।
পূবে তাকাও
বিহার, বাংলা, অসম প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ। তিন রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
The post স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে নতুন ভারত গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.