সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোরখা নিয়ে আরেক সংস্কারী পদক্ষেপ নিল কেরলের এক প্রতিষ্ঠান৷ কোঝিকোড়ে একটি মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরখায় মুখ ঢেকে আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিল কর্তৃপক্ষ৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই জন্ম, মেয়ের নাম ফণী রাখলেন দম্পতি]
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ পিকে ফজল গফুর পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘কোনও বিতর্ক নয়৷ আমরা ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বোরখা নিষিদ্ধ করতে চাই৷ কোনও মেয়ে যাতে বোরখা মুখ ঢেকে এখানে পড়তে না আসে, সেই নিয়ম জারি করতে চলেছি৷ ধর্মের যেসব রীতিনীতি আধুনিক সমাজে তেমন গ্রহণযোগ্য নয়, আমরাও সেই আচরণ সমর্থন করি না৷’ তাঁর এই বক্তব্যের পর উঠেছে সমালোচনার ঝড়৷ দার-উল-উলুম নামে একটি সংগঠন এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, বোরখা নিষিদ্ধ করা মানে শরিয়ত আইন লঙ্ঘন করা৷ প্রতিটি মুসলিম মহিলার জীবনে বোরখার গুরুত্ব আছে৷ এটা মহিলাদের রক্ষাকবচ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই নিষেধাজ্ঞা মুসলিম মহিলাদের ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপের সমান৷ মুসলিম সমাজের উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি উমর ফয়জের কথায়, ‘ইসলাম মতে, মহিলাদের শরীরের কোনও অংশ উন্মুক্ত এবং জনসমক্ষে আনা উচিত নয়৷ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে ছাত্রীদের বোরখায় মুখ ঢাকা থেকে বিরত করতে পারে না৷ আইন মেনে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত৷’
[আরও পড়ুন: ‘বোরখা হলে, ঘোমটাও নিষিদ্ধ হওয়া উচিত’, দাবি জাভেদ আখতারের]
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার গির্জায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে সেখানকার প্রশাসন জঙ্গি শনাক্তকরণের সুবিধার্থে বোরখায় মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে৷ সেই পথে হেঁটেই কোঝিকোড়ের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু যাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত, বোরখা নিষিদ্ধকরণ নিয়ে সেই ছাত্রীরা কী বলছেন? তাঁরা কি খুশি এই নিষেধাজ্ঞায়? কেউ কেউ বলছেন, যাক কলেজে আসার সময় আর বোরখা পড়তে হবে না৷ আবার কেউ কিছুটা ক্ষুণ্ণ৷ আজন্ম লালিত সংস্কার ছেড়ে এত সহজে কীভাবে দূরে সরে যাবে, সেই চিন্তা করছেন তাঁরা৷
The post ক্যাম্পাসে বোরখা নিষিদ্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক তুঙ্গে কেরলে appeared first on Sangbad Pratidin.