রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলার নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) সবচেয়ে বড় ইস্যু কী? অনেকেই একবাক্যে মেনে নেবেন ‘কর্মসংস্থান’ বা ‘বেকারত্ব’। বস্তুত, বেকার সমস্যা এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসকদলের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথার কারণ। রবিবার বাঁকুড়ার সভায় সেই মাথাব্যথার জায়গাটিতেই আঘাত করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবছর রাজ্যের নতুন ভোটার তথা বেকার যুবসমাজের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান,”পূর্বপুরুষদের মতো ভুল করবেন না। নিজেদের ভবিষ্যৎ বরবাদ করতে না চাইলে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার আনুন।”
বাঁকুড়ার সভায় মূলত নতুন ভোটারদের কাছে টানতে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “আপনাদের আগে ৩-৪ প্রজন্ম বরবাদ হয়েছে। আর বরবাদ করবেন না। আপনাদের পূর্বপুরুষরা কংগ্রেস-সিপিএম (CPM) এবং তৃণমূলকে ৭০ বছর সময় দিয়েছে। এই তিন দলের ভুল নীতির জন্য বাংলার যে গতিতে উন্নয়ন হওয়ার কথা, সেটা হয়নি। বহু প্রতিভাবান যুবক বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী এদিন বোঝানোর চেষ্টা করলেন, বিজেপিকে না আনলে বাংলার যুবসমাজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারময়। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে মোদির আহ্বান, “আপনারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। বাংলায় যদি দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থা চান, তাহলে বিজেপি (BJP) সরকার দরকার। উন্নত মানের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। রাজ্যের সব গ্রামে ফাইবার অপটিক্স বসানোর কাজে গতি আসবে। কুটির এবং ক্ষুদ্র শিল্পকে বরবাদ করেছে যে নীতি, সেই নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘১০ বছর আগে আসল রূপ দেখালে ক্ষমতাই পেতেন না’, ‘দিদি’কে কটাক্ষ মোদির]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করে দিয়েছেন, “বিজেপি সরকার তৈরি হলেই রাজ্যে নতুন শিক্ষা নীতি চালু হবে। নিজের ভাষায় শিক্ষা পাবেন বাংলার পড়ুয়ারা।” মোদির দাবি, তৃণমূলের (TMC) ভ্রান্ত নীতির জন্যই রাজ্যে বেকারত্ব এত বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “১০ বছরে রাজ্যে বিনিয়োগ আসেনি কেন? শিল্প কোথায়?” মোদির দাবি, রাজ্যের বহু প্রতিভাবান যুবককে চলে যেতে হয়েছে অন্য রাজ্যে। বিজেপি এলে এই সমস্যার সমাধান হবে।