ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আগে বহুবার তাঁকে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সমর্থন করতে। উনিশের লোকসভার আগে মমতার হয়ে প্রচার করেছেন। যোগ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। এবার সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা একসময়ের প্রথম সারির বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। আজই তৃণমূল ভবনে এসে রাজ্যের শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল ভবনে ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন তিনি। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই যোগদান তৃণমূলের জন্য নিঃসন্দেহে উৎসাহ ব্যঞ্জক হতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২৯১ আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে ফেলেছেন। সেক্ষেত্রে যশবন্তকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা নেই। তবে, তাঁকে তারকা প্রচারক হিসেবে কাজে লাগাতে পারে তৃণমূল। বিশেষ করে হিন্দিভাষী এলাকাগুলিতে শাসকদলকে সাহায্য করতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাংলায় ‘দিদি’কেই সমর্থন! প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছিয়ে এল হেমন্ত সোরনের JMM]
একসময়ে বিজেপির দাপুটে নেতা ছিলেন যশবন্ত সিনহা৷ মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি সামলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকও। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যশবন্তকে। যার জেরে মোদি-শাহ জুটির উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভার আগে থেকেই মোদি-শাহ জুটিকে হারাতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমেছেন তিনি। উনিশের আগে মমতার হয়ে রাজ্যে ভোটপ্রচার করেছেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই৷’’ এমনকী, উনিশের ভোটের আগে মমতা যে একের বিরুদ্ধে এক ফরমুলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গিকার করেছিলেন, সেই ফরমুলাকেও সমর্থন করেন যশবন্ত। তারপর থেকেই তাঁর এবং মমতার সখ্য সুবিদিত।সেই মমতার দলের হাত ধরেই রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হলেন যশবন্ত।