সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কদর্যভাষায় আক্রমণের অভিযোগ। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে কমিশনে ফের বিজেপির প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারের প্যারোডিতে ‘পিসি-ভাইপো’ শব্দ ব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল।
শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Elections)। জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল-বিজেপি উভয় দল। বাংলাকে দখলে রাখতে বিজেপির একাধিক নীতির বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে বিজেপিকে বিঁধছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। একইভাবে বারবার রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন খোদ মোদি। সেইসঙ্গে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সোনার বাংলার। মোদি-মমতা ঝাঁজালো ভাষায় একে অপরকে আক্রমণ করেই চলেছে। একাধিক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে দুঃশাসন, দুর্যোধন, দৈত্য, হোদল কুঁতকুঁত বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীও। তৃণমূল সুপ্রিমোর এই লাগাতার আক্রমণের বিরোধিতা করে এবার কমিশনে গেল বিজেপি (BJP)। এবিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “বিজেপি নেতারা কুকথার বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তাতে কোনও দোষ হচ্ছে না। কিন্তু তৃণমূল কিছু বললেই দোষ।” কুণাল ঘোষের কথায়, বিজেপি মমতার মোকাবিলা করতে পারছে না। সেই কারণেই নানারকম ইস্যু তৈরি করছে। তবে তৃণমূল এসব নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়।”
[আরও পড়ুন: ‘আমার স্কিমে চলি, তৃণমূল স্ক্যামে চলে’, আক্রমণ মোদির, মমতাকে বিঁধলেন এই ১০ পয়েন্টেও]
এদিকে ভোটের প্রচারে মমতাকে খোঁচা দিয়ে একাধিক প্যারোডি তৈরি করেছে বিরোধী দলগুলি। সেখানে থাকা ‘পিসি-ভাইপো’ শব্দ নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপির। সেই কারণে কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র পেশের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনে বিজেপি। গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছিল, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নন্দীগ্রামে (Nandigram) সাদা পোশাকে ভোটপ্রচার করছে পুলিশ। এমনকী, তৃণমূলের হয়ে এলাকায় পুলিশ টাকা ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। এবার মোদিকে আক্রমণের বিরোধিতা করে কমিশনে বিজেপি।