রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের ফাঁস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিও ক্লিপ। এবারে শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আনল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রকাশ করা অডিও ক্লিপে (ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল) শোনা যাচ্ছে, কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়কে শীতলকুচি প্রসঙ্গে একাধিক নির্দেশ দিচ্ছেন মমতা। ক্লিপটি প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন। শীতলকুচির ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজ্যের ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করারও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
কী আছে বিজেপির প্রকাশ করা ক্লিপে?
শুক্রবার বিজেপির তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের রাজ্য সহ-পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) অডিওটি প্রকাশ করেছেন। বিজেপির দাবি, এটি শীতলকুচির ঘটনার ঠিক পরেই পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে মমতার ফোনালাপের অডিও। যাতে পার্থর উদ্দেশে একাধিক নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “সবকটা সিআরপিএফকে গ্রেপ্তার করাব। ডেডবডিগুলো এখন রেখে দাও। আজকে পরিবারগুলকে বলবে, কেউ ডেডবডি নেবে না। কালকে ডেডবডিগুলো নিয়ে র্যালি হবে।” এরপর পার্থপ্রতিমের উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে,”তুমি এক কাজ করো, পুরো এফআইআর করবে। আইনজীবীকে দিয়ে, নিজের ইচ্ছামতো করবে না। বাড়ির লোক যে এফআইআর করবে সেটা আমি বলে দেব ভোটের পর। এখনই পুলিশ বয়ান নিতে গেলে দেবে না। ভাল করে এফআইআর করতে হবে। যাতে কম্যান্ড জোন থেকে শুরু করে এসপি থেকে শুরু করে, সবকটা ফাঁসে।”
[আরও পড়ুন: ফের বন্দুকবাজের তাণ্ডব আমেরিকায়, ইন্ডিয়ানাপোলিসে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত অন্তত ৮]
মমতার এই অডিওকে হাতিয়ার করে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে বিজেপি। অমিত মালব্যর দাবি, “মমতা আর পার্থপ্রতিমের এই ফোনালাপ থেকেই স্পষ্ট, শীতলকুচিতে বুথ দখলের চেষ্টা করছিল তৃণমূল। মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে মমতা। এই ঘটনাকে নির্বাচনে সম্পূর্ণ মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।” বিজেপি আইটি সেলের প্রধানের দাবি, “অন্য যে কোনও মুখ্যমন্ত্রী হলে এই ঘটনার পর যারা আইন বলবত করার চেষ্টা করছে তাঁদের পাশে থাকতেন। কিন্তু মমতা সিআরপিএফকে গ্রেপ্তার করার কথা বলছেন। এসপি এবং আইসির বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করার কথা বলছেন। যে রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্যের নাগরিকের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করতে পারে তাঁকে ভোট দেবেন কিনা রাজ্যবাসীকে ভাবতে হবে।”