শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়ে একমাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভরতি রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Jakir Hossain)। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর উপরই ভরসা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবারও জঙ্গিপুর থেকেই লড়াই করবেন জাকির হোসেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে প্রচারে শামিল হতে পারবেন না তিনি। মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন অ্যাম্বুল্যান্সে।
১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরতে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছিলেন জাকির হোসেন। সেই সময় স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে গুরুতর জখম হন শ্রমমন্ত্রী-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। রাতেই জাকির হোসেনকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেই থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মন্ত্রী। অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। কিন্তু জঙ্গিপুর থেকে এবারও তাঁকেই প্রার্থী (TMC candidate) করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে এলাকায় যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহূর্তে তার পক্ষে প্রচারে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই কারণেই কর্মীদের মনোবল ফেরাতে হাসপাতাল থেকে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করলেন জাকির হোসেন।
[আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়িয়ে একটানা ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, একদিনে সংক্রমিত ৩৮৩]
তিনি বলেন, “জঙ্গিপুরের মানুষের আশীর্বাদ আর ডাক্তারদের চেষ্টায় এত কিছুর পর আমি কথা বলতে পারছি। মুখ্যমন্ত্রী, ববি দা (ফিরহাদ হাকিম), নির্জল মাজির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এলাকাবাসীকে বলছি, আমি তাঁদের পাশে রয়েছি। আজীবন পাশে থাকব।” ২৬ এপ্রিল জঙ্গিপুর আসনের নির্বাচন। জানা গিয়েছে, কোনওভাবেই নির্বাচনী প্রচারে শামিল হতে পারবেন না জাকির হোসেন। আগামী ২ এপ্রিল কয়েকঘণ্টার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে করে এলাকায় ফিরবেন তিনি মনোনয়ন পেশের জন্য। তবে জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত মন্ত্রী। হাসপাতালের বেডে শুয়েই বললেন, “জঙ্গিপুরবাসী আমার পাশে ছিলেন, আছেন আর থাকবেন।”