গৌতম ব্রহ্ম এবং দীপঙ্কর মণ্ডল: বিধানসভায় (WB Assembly) পাশ হওয়া বিল নিয়ে রাজভবনে নালিশ করেছিলেন বিরোধী বিধায়করা। মঙ্গলবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘বিল পাশ করবেন না। আটকে রাখুন।’ এই আচরণের নিন্দা করে বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে বুধবার নিন্দা প্রস্তাব পাশ হল বিধানসভায়।
এবিষয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী ওরফে তৃণমূল বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিরোধী দলের সদস্যরা রাজভবনে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। বিধানসভায় বিল সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছে, ভোটে হেরে গিয়েছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “তারা বিল আটকে রাখতে বলছে। তারা আইনসভা বিধানসভার গরিমাকে নষ্ট করছেন। এই সভা এর তীব্র নিন্দা করছে।” একইসঙ্গে মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, এই আইনসভার সদস্যরা আইনসভাকে অসম্মান করছে।
[আরও পড়ুন: ‘দিদির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে’, তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও উসকে দিলেন শোভন-বৈশাখী]
বিরোধীদের আচরণের সমালোচনা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলছেন এই বিল পাশ করবেন না। এটা বিধানসভার মর্যাদা নষ্ট করছে। আপনাদের রাজ্যপালকে গিয়ে বলা, বিলে অনুমোদন দেবেন না, এটাও ঠিক নয়।” এরপরই নিন্দাপ্রস্তাব পাশ হয় বিধানসভায়।
কী করেছেন বিজেপি বিধায়করা? মঙ্গলবার বিধানসভায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল, ২০২২ বিলটি পেশ করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রথমে ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় বিলটি। কিন্তু তাতে বাদ সাধে বিরোধীরা। ভোটাভুটির দাবিতে সরব হন তাঁরা। বিল পাশ হওয়ার পরই রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা।
[আরও পড়ুন: চরমে আর্থিক অনটন, খাস কলকাতায় লিভ-ইন পার্টনারকে সঙ্গে নিয়ে ‘আত্মঘাতী’ যুবক]
উল্লেখ্য, বিল পাশ হওয়ার পর তা রাজভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ বিজেপি বিধায়করা রাজ্যপালকে বিলে স্বাক্ষর না করার আরজি জানিয়েছেন। যা অত্যন্ত অবমাননাকর বলে মনে করছে রাজ্যের শাসকদল। আচার্য বিল প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, “আমি খুব মন দিয়ে বিলগুলো দেখব। পক্ষপাতিত্ব করব না। যদি গ্রহণযোগ্য হয়, গ্রহণ করব। যদি তা না হয়, আমি সরকারের সঙ্গে কথা বলব। গণতন্ত্রকে জলাঞ্জলি দেব না।”