সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্য যখন উত্তাল তখন ঘরবন্দি হয়েই দিন কাটালেন রাহুল সিনহা। বিকেলে ব্যক্তিগত কাজে বাইরে বের হলেও পার্টি অফিসের দিকে যাননি। এর ফলে সম্প্রতি পদ খোয়ানো ওই বিজেপি (BJP) নেতাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
কয়েকদিন আগে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে পদ হারানোর পরেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তৃণমূল থেকে আসা এক নেতার জন্য পদ খোয়াতে হল বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর রাতারাতি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সদ্য দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়া মুকুল রায় থেকে রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপিতে রাহুল সিনহার অবদান সম্পর্কে গুণগান করতে আরম্ভ করেন। রাহুল সিনহাকে বিজেপির মুখ বলেও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু, তারপরও যে দীর্ঘদিনের ওই বিজেপি নেতার মানভঞ্জন হয়নি তার প্রমাণ পাওয়া গেল বিজেপি যুব মোর্চার (BJYM) নবান্ন অভিযানে!
[আরও পড়ুন: করোনার জেরে বন্ধ স্কুল, ঘরবন্দি অবস্থায় দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে ফেলল ৯ বছরের খুদে ]
বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের জন্য চারটি মিছিল বের করছিল বিজেপি। আগে থেকেই কে কোন মিছিলে থাকবে, কে নেতৃত্ব দেবেন, তা ঘোষণা করা হয়েছিল মুরলীধর সেন লেন থেকে। আশ্চর্যজনকভাবে সেই তালিকাতে ছিল না রাহুল সিনহার নাম। এই নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও জানা যায়, ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের কাছে এই অভিযানে তিনি থাকবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার তাই তিনি আসেননি।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই ১০ থেকে ১২ দিন পর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়, দলের উপরে চাপ বাড়াতেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলতে আরম্ভ করেন, যেভাবে দলবদলের খেলা চলছে তাতে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। একুশের নির্বাচনের আগে দলের অভিজ্ঞ ও পুরনো নেতা বেরিয়ে গেলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে জনমানসে। আজকের ঘটনা সেই জল্পনায় ঘৃতাহূতি দিল বলেই মনে করছেন অনেকে।