বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) কাণ্ডের আঁচ দিল্লিতেও। সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা বাংলার বিজেপি সাংসদদের। বাদল অধিবেশনের শুরুতে ধরনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও কীভাবে ফের সোমবার ধরনা কর্মসূচিতে শামিল হল গেরুয়া শিবির, পালটা প্রশ্ন তৃণমূলের।
সোমবার সকালের ধরনায় শামিল হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দেবশ্রী চৌধুরী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ, খগেন মুর্মু-সহ সাতজন সাংসদ। বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ শানানো পোস্টার হাতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে জমায়েত হন তাঁরা। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “একজন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এত বড় দুর্নীতি করতে পারেন না। কাটমানির খাদ্যশৃঙ্খলে তৃণমূলের সকলে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
[আরও পড়ুন: রাঁধুনি থেকে শিক্ষাদপ্তরে চাকরি, আচমকাই পালটে যায় অর্পিতার ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ বোনের জীবন]
ধরনা প্রসঙ্গে পালটা বিজেপিকে (BJP) একহাত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এ বিষয়ে বিস্তারিত সংসদীয় দলের নেতৃত্ব বলবেন।” বাদল অধিবেশনে ধরনা কর্মসূচির বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরাও। তা সত্ত্বেও কীভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংসদ চত্বরে ধরনায় শামিল হলেন বঙ্গ বিজেপি সাংসদরা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির। তিনি বলেন, “ধরনা দেওয়া যাবে না, সে নিয়ম তো বিজেপিই তৈরি করেছিল। আজ ওরাই বসে পড়ল? মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ধরনা হলে, তা করা যাবে না। অথচ বিজেপি চাইলে করতেই পারে?” স্পিকারের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানোর পরামর্শ তৃণমূলের।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি (ED)। তল্লাশি চালানো হয় পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটেও। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ২১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। পরদিনই ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গ্রেপ্তারির ছ’দিনের মাথায় মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের দলীয় সমস্ত পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।