রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে ৭৪ জন বিধায়কের মধ্যে মোট ৭০ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। দেখা যায়নি বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে (Bishwajit Das)। তন্ময় ঘোষ, নীরজ জিম্বাও ছিলেন না। দলে বেসুরো বিশ্বজিৎবাবু এদিন কেন এলেন না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা জানান, “বিশ্বজিৎ দাস কেন আসেননি জানতে আমি তার সঙ্গে কথা বলব।” ৭৪ জনের মধ্যে ৭০ জন এসেছিলেন। অনুপস্থিত চারজনের মধ্যে দুজন অসুস্থ। এদিনের বৈঠকে দলের বিধায়কদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকার পাশাপাশি পোশাক বিধিও একপ্রকার বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভায় (Assembly) আসা বিধায়কদের প্রত্যেকের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে। এর সঙ্গে পরনে সাদা পাঞ্জাবি ও কপালে গেরুয়া তিলক থাকতে পারে, তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। তবে শোনা যাচ্ছে এবার থেকে এই পোশাকেই অধিকাংশ BJP বিধায়ক বিধানসভায় যোগ দেবেন। নব্য বিধায়কদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এক, নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া অনুপস্থিত হওয়া যাবে না। দুই, বিধানসভার লাইব্রেরিতে যেতে হবে নিয়মিত। পরিষদীয় রাজনীতির পাঠ নেওয়া ও পড়াশোনা করা। তিন, কোনও কিছু না বুঝতে পারলে অধিবেশন চলাকালীন দলের পুরনো-প্রবীন বিধায়কদের থেকে জেনে নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: বিধায়ক হয়ে বিরাট কিছু হয়ে যাননি! প্রশিক্ষণ শিবিরে জনপ্রতিনিধিদের ‘শাসন’ দিলীপের]
এদিন পরিষদীয় দলের প্রশিক্ষন শিবিরে প্রথমেই ক্লাস নেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দলের অনুশাসন মেনে বিধায়কদের চলতে হবে। পার্টিই আসন সেটা তিনি বুঝিয়ে দেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, সংগঠনকে নিয়ে চলতে হবে। বিধায়ক হয়ে এমন ভাবার কোনও কারন নেই যে অনেক কিছু হয়ে গিয়েছেন। দলের বিধায়কদের উজ্জীবিত করতে কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ বলেছেন, বিজেপি হারেনি। ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার চালাচ্ছে। আর বাংলায় বিজেপি ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিরোধীর দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেই আগামীদিনে সাফল্য আসবে। মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। সংগঠনকে বাড়াতে হবে। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট বার্তা, সকলে মিলমিশে চলতে হবে। ‘আমি’ নয় ‘আমরা’ হিসাবে চলতে হবে। গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে যে আক্রমণাত্মক ভূমিকাতেও বিধানসভার অন্দরে দেখা যাবে বিজেপিকে সেটা এদিন বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।