স্টাফ রিপোর্টার: ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দিতে ভিন্ন নাম নয়। এ রাজ্যের একটাই নাম হবে, ‘বাংলা’। রাজ্যের নামবদলের ক্ষেত্রে শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। ক্যাবিনেটের প্রস্তাব অনুযায়ী, সব ভাষাতেই ‘বাংলা’ নামটি ব্যবহৃত হবে। ফলে আর কোনও জটিলতা থাকবে না। কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে চিঠিও পাঠাচ্ছে নবান্ন।
গত বছরের ২৯ আগস্ট বিধানসভায় রাজ্যের নামবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, বাংলা ভাষায় রাজ্যের নাম হবে, বাংলা। হিন্দিতে ‘বঙ্গাল’ ও ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’। বিধানসভার প্রস্তাব মেনে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যকে জানানো হয়, রাজ্যের নাম একটিই রাখতে হবে। গুজরাত, তামিলনাড়ু-সহ আরও কিছু রাজ্যের উদাহরণ টানা হয়। সেই সূত্রেই কেন্দ্র আবার নাম বদলানোর প্রস্তাব দেয়। যা মেনে এক বছর বাদে এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, ভাষা নির্বিশেষে একটিই নাম হবে এ রাজ্যের।
[রাজ্য সরকারের কর্মীদের জন্য সুখবর, জানুয়ারিতে মিলবে ১৫% বকেয়া ডিএ]
নবান্নে এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শিক্ষা ও পরিষদীয় দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “বিধানসভায় রাজ্যের নামবদলের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। বহুদিন অপেক্ষা করার পরও সদর্থক উত্তর মেলেনি। পরে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্যের ক্ষেত্রে একটি নাম হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনেই শুধু ‘বাংলা’ নামকরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।”
নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রক আবার প্রতিবেশী বাংলাদেশ নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ নামের মিল নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এমন নামের কথা বলা হয়েছিল যেখানে ইংরেজি, হিন্দি বা বাংলা ভাষায় বৈসাদৃশ্য থাকবে না। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গ নামের মধ্যে ঔপনিবেশিকতার ছায়া রয়েছে। তা ছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল নাম থাকলে অন্য অসুবিধা রয়েছে। ইংরেজি বর্ণমালার ক্রমানুসারে নামটি আসে একেবারে শেষের দিকে।
যে কারণে, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ও কোনও জাতীয় বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধিকে অন্তত ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সবশেষে রাজ্যের প্রতিনিধিরা বলার সুযোগ পাওয়ায় সঠিকভাবে বক্তব্য তুলে ধরা যায় না বলেও আধিকারিকদের যুক্তি। সেই প্রেক্ষিতেই নামবদলের প্রস্তাব নেয় রাজ্য সরকার। শিক্ষাবিদদের একাংশ রাজ্যের এই নামবদলের স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানোর পর সম্মতি পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে রাজ্য। সেক্ষেত্রে বিধানসভায় সংশোধনী প্রস্তাব আনা হবে।
[পুজোয় স্পেশাল বন্ধু চাই? ভরসা থাকুক এই অ্যাপেই]