শুভঙ্কর বসু: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কোভিড বিধি মানা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলি তো বটেই, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালতও। কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court) এবং মাদ্রাজ হাই কোর্ট কমিশনকে রীতিমতো তুলোধোনা করেছিল। রাজ্যের উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে কমিশন। এবারে কোভিড বিধি সংক্রান্ত কোনওরকম খামতি বরদাস্ত করা হবে না। জেলাশাসকদের উদ্দেশে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেসব জায়গায় ইভিএম-ভিভিপ্যাটের (VVPAT) ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ এবং দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এই কেন্দ্রগুলিতে ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের যে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থীদের মৃত্যুর কারণে ভোট হয়নি, সেই দুটি কেন্দ্রে নতুন করে ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’করার দরকার নেই। ওই দুই কেন্দ্রের ভোটের সবরকম প্রস্তুতি আগে থেকেই সারা আছে। সাধারণত EVM-ভিভিপ্যাটের ‘ফার্স্ট লেভেল চেকিং’ থেকেই কোনও জায়গার নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে। ভোট প্রস্তুতির সর্বপ্রথম ধাপ এটি। ফলে ইভিএম ভিভিপ্যাটের ফার্স্ট লেভেল চেকিং শুরু করতে বলে কার্যত ওই ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন। আগামী ৩ থেকে ৬ আগস্টের মধ্যে জেলাগুলিকে এই কাজ সেরে ফেলতে বলেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব (Dr. Aariz Aftab)।
[আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে ত্রিপুরায় আটক TMC কর্মীরা, তীব্র নিন্দায় Abhishek]
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এবারে বিশেষভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে কোভিড বিধির উপর। জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, দৈনন্দিন কাজের ফাঁকেই গুরুত্ব দিয়ে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি সারতে হবে। তবে, কোনওভাবেই কোভিড (Covid-19) বিধির সঙ্গে আপস করা যাবে না। যে সমস্ত আধিকারিক ফার্স্ট লেভেল চেকিংয়ের কাজে যুক্ত থাকবেন বা যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের সবাইকে করোনা বিধি মানতে হবে। আসলে, বাংলার নির্বাচন করতে গিয়ে যেভাবে ‘বদনাম’ হতে হয়েছে, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর চায় না কমিশন। তাই এবার তারা নামছে আঁটঘাট বেঁধে।