সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তার পর এই প্রথমবার বসেছে বিধানসভা অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল। মঙ্গলবার অধিবেশন থেকে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর কটাক্ষ, “এই বিজেপি ল্যাজ ছাড়া হনু।” একইসঙ্গে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে পালটা বিজেপিকেই দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়। কী অত্যাচার করেছেন, আমার মুখ খুলিয়ে লাভ নেই। মেদিনীপুরে ঘরে ঘরে যাবেন, মানুষ বলে দেবেন।” এরপরই তাঁর আক্ষেপ, “আগেও বিজেপির (BJP) সঙ্গে কাজ করেছি। এরকম ছিল না। এখনকার বিজেপি একটা ল্যাজ ছাড়া হনু।” নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “ঘুরে বেড়াচ্ছে। কথায় ভদ্রতা নেই, সৌজন্য নেই, সংস্কৃতি নেই। মানুষের কথা না বলে, আমি কত বড় বলতে এসেছেন।”
[আরও পড়ুন: একাধিক ইস্যুতে আজও উত্তাল বিধানসভা, TMC বক্তব্য শুরু করতেই বেরিয়ে গেলেন শুভেন্দু]
এদিন টিকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল বিধায়কেরা। সেই আক্রমণে তাঁদের হাতিয়ার ছিল রাজ্যপালের ভাষণ। সেই সময় আবার আপত্তি জানায় বিজেপি বিধায়করা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, “আপনি রাজ্যপালকে অ্যালাও করেছিলেন? আপনাদের নমিনেটেড তো। আজ কেন বলছেন?” এদিকে এদিন বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের এই পদক্ষেপকেও কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “গঠনমূলক সমালোচনা না করে বাইরে গিয়ে প্রেসের মুখোমুখি হয়েছেন। কিছু বলার নেই। তাই এক মিনিটে বেরিয়ে গেলেন।”
রেশন দোকানে প্রধানমনন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হোর্ডিং লাগানো নিয়েও কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, “রেশন দোকানে নাকি মোদির হর্ডিং লাগাতে হবে। এক মাস পাঁচ কেজি শস্য দেবে। তাতেই এত। আমরা তো প্রতি মাসে দিই। এমন নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে।”
এদিন শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট বিধানসভায় জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ৯৯টি অভিযোগ হয়েছে। ৪৭৭টি ফেক ভিডিও ব্লক হয়েছে। বিজেপি কত ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছে সে কথা বলতে গিয়ে এই তথ্য দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,”শীতলকুচির কেস চলছে। তৈরি হলে জানতে পারবেন কীভাবে সেখানে বুথে ঢুকে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি করেছিল।” নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কমিশনের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।