শুভঙ্কর বসু: রাজ্যে আসন্ন ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দেওয়া যায় নাকি তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা জানাতে হবে। কিন্তু সূত্রের খবর, পুর নিগমগুলির নির্বাচনের মতোই ১০৮ পুরসভার নির্বাচনও রাজ্য পুলিশ দিয়ে করাতে চাইছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল কমিশন (West Bengal State Election Commission)। রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশিকার কথা জানানো হয়। সূত্রের খবর, রাজ্য কমিশনকে জানিয়েছে, ১০৮ পুরসভাতে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন রেখেই তারা ভোট করাতে চাইছে। গত নির্বাচনগুলিতে পুলিশ সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে। এমনটাই মনে করছে নবান্ন। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কমিশনের বক্তব্যে তা পরিষ্কার। ফলে নতুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছে না রাজ্য।
[আরও পড়ুন: ‘আমি সেলিব্রিটি, বাদাম আর বেচব না’, ঘোষণা ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকরের!]
এখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি সরকারের এই বক্তব্য মেনে নেয় সেক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ (Police) দিয়েই বাকি পুর ভোট হবে। কিন্তু কমিশন ও রাজ্য সরকার যদি হাইকোর্টে এই বক্তব্য জানায়, সেক্ষেত্রে আদালত কি সিদ্ধান্ত নেয় এখন সে দিকেই নজর সব পক্ষের।
উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা পুরভোট এবং রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরজি জানান বিরোধীরা। সে জল গড়ায় হাই কোর্টেও (Calcutta High Court)। বিধাননগর পুরভোটে বাহিনী প্রয়োজন কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। অশান্তি হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলেও জানায় আদালত। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের কাঁধেই দেয়। বিরোধীদের দাবি, সেই সুযোগেই চার পুরভোটে ব্যাপক অশান্তি করেছে শাসকদল। তবে সে অভিযোগ কার্যত খারিজ করেছে ঘাসফুল শিবির।