shono
Advertisement

১০০ দিনের কাজের কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা রাজ্যের, এবার অন্যত্র মিলবে কর্মসংস্থান

১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ কুণাল ঘোষের।
Posted: 08:39 PM Nov 05, 2022Updated: 08:44 PM Nov 05, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের। এবার থেকে MGNREGA-য় নথিভুক্ত কর্মীদের বিভিন্ন রাজ‌্য সরকারি দপ্তরের কাজে লাগানো হবে। কোন কাজে কতজনকে লাগানো হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রতিটি বিভাগের নোডাল অফিসার। কাজের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন‌্য অফিসারদের নিয়োগ করা হবে। এবিষয়ে নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

Advertisement

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পে শুধু তাঁরাই কাজ পাবেন যাদের জব কার্ড (Job Card) আছে। জব কার্ড ছাড়া যাতে কেউ কাজ না পায়, সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কাজ পাচ্ছেন অথচ জব কার্ড নেই, তাঁদের ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে আগে সব শ্রমিকদের হাতে জব কার্ড তুলে দিতে হবে। একই সঙ্গে যারা বিভিন্ন দপ্তরের কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের নাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সংক্রান্ত পোর্টালে (West Bengal Job Portal) নথিভুক্ত করতে হবে।

[আরও পড়ুন: অন্য নারীতে মজে স্বামী, পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ‘খুন’]

কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে এই প্রকল্পের কাজ প্রায় বন্ধ। ফলে গ্রামাঞ্চলের বহু সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। রাজ্য সরকার বারবার কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকা পাঠানোর জন্য আরজি জানালেও নানা কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র তা এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্র আবার বলছে, রাজ্য সরকার ঠিকমতো এই প্রকল্পের কাজের হিসাব দিতে পারেনি। কেন্দ্র ও রাজ্য এই টানাপোড়েনে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ কর্মপ্রার্থীরা। সেকারণেই রাজ্য সরকার কর্মীদের অন্য প্রকল্পে কাজ দেওয়ার চেষ্টায় আছে।

[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘দুয়ারে হিন্দুত্ব’ VHP’র, বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত, অভিযোগ তৃণমূলের]

এদিকে ১০০ দিনের কাজে টাকা বন্ধ নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের রাজ‌্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকাটা হঠাৎ করে কেন আটকানো হল, সেটা একটু পিছিয়ে দেখা দরকার। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে যেই দেখা গেল ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম হয়েছে, তা শুনেই বিজেপি (BJP) নেতাদের বুক ফেটে গেল। বিজেপি নেতারা বললো, সামনে পঞ্চায়েত ভোট আসছে, রাজ‌্য এক নম্বর যদি থাকে তাহলে মানুষ ওদের ভোট দেবে। তাই টাকাটা আটকাতে হবে। বিজেপির রাজ‌্য নেতারা বললেন, টাকা থামাও। কেন্দ্র টাকা বন্ধ করলো। সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ‌্যপ্রণোদিত। যদি কোনও অনিয়ম হতো তাহলে কী প্রথম হতে পারতো! আর এই টাকা তো কেন্দ্র দয়া করে দিচ্ছে না। রাজ্যের প্রাপ‌্য টাকাই দিচ্ছে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement