সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাজ্য বরাদ্দ টাকা দিচ্ছে না, তাই নতুন ক্যাডেট নেওয়া বন্ধ করল ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস বা NCC। আর্থিক সমস্যার জেরে বর্তমান ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই মর্মে প্রতিরক্ষামন্ত্রকে চিঠি দিলেন বাংলা ও সিকিমের এনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিজি। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে রাজ্যের অর্থসচিব, এনসিসির ডিরেক্টর জেনারেলকেও জানিয়েছেন বলে চিঠিতে দাবি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিরোধীদের দাবি, খেলা-মেলা করতে গিয়ে রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য তাই এনসিসির বরাদ্দ বন্ধ করেছে রাজ্য। এনসিসি ও বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, এনসিসি খরচের হিসেব দিলেই রাজ্য টাকা দেবে। তবে এনসিসি এই হিসেব রাজ্যকে দিতে বাধ্য কিনা তা স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগীকে মুসম্বির জুস, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে যোগীরাজ্যের হাসপাতাল]
সাধারণত এনসিসি বা ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুবশাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ৭৫ শতাংশ দেয় কেন্দ্র। ২৫ শতাংশ দেয় রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের তরফে সেই বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন এনসিসির এডিজি। তাঁর দাবি, এনসিসির প্রাপ্য অর্থও দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যের অর্থসচিব-সহ একাধিক আধিকারিক ও দপ্তরের কাছে আবেদন করেও সমস্যার সুরাহা হয়নি। বরাদ্দ অর্থ না মেলায় বিপাকে পড়েছে এনসিসি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের তরফে প্রাপ্য বরাদ্দ না মিললে এনসিসিতে নতুন ক্যাডেট নেওয়া হবে না। আবার বর্তমান ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণেও সমস্যা হবে। জানা গিয়েছে, বি ও সি সার্টিফিকেটের জন্য পরীক্ষাও আটকে গিয়েছে ৪১ হাজার ক্যাডেটের। সমস্ত সমস্যার কথা জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কাছে চিঠি দিল এনসিসি। তাঁদের দাবি, প্রায় ৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ধাপে ধাপে টাকা চাইলেও তা মেলেনি।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির পদে শপথ খাড়গের, তবু অনুষ্ঠানে উচ্ছ্বাস গান্ধীদের ঘিরেই]
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার চিঠিটি প্রকাশ্যে এনেছেন। সুকান্তর দাবি, তোষণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে টাকা রয়েছে। কিন্তু জাতীয়বাদের সঙ্গে যুক্ত যে কোনও বিষয়, যুবসমাজের উন্নয়নের জন্য সরকারি তহবিলে টাকা নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর গলাতে। তাঁর কথায়, রাজ্যের কোষাগার শূন্য হলে খেলা-মেলা চলছে কীভাবে। এনসিসির ফান্ড বন্ধ করলে সমস্যা পড়বে ক্যাডেটরা। যদিও বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
যদিও বিরোধীদের দাবি নস্যাৎ করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, প্রাথমিকভাবে যতটা জানি, এ মাস পর্যন্ত সমস্ত পাওনা রাজ্য মিটিয়ে দিয়েছে। জবাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রীও।