সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা হয়েছিল। ঘোষণার ঠিক নয়দিনের মাথায় শুক্রবার সন্ধেয় এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বরাদ্দ অনুযায়ী ৩ শতাংশ এবং এবার বাজেটের বর্ধিত ৩ শতাংশ মিলিয়ে মোট ৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন সরকারি কর্মীরা। ১ মার্চ থেকে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকার অনুমোদিত স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত কর্মী, পুরসভা, পুরনিগম, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা।
ডিএ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তারই মাঝে নবান্নর এই বিজ্ঞপ্তিও ক্ষোভের ক্ষতে বিশেষ প্রলেপ দিতে পারেনি। কারণ, আগামী ১০ মার্চের ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চ। কারণ, বকেয়ার পাশাপাশি ৩৫ শতাংশ ডিএ’র দাবিতে এককাট্টা সরকারি কর্মীদের একাংশ। ইতিমধ্যেই ধর্মঘটের দিনক্ষণ জানিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি জমা দিয়েছেন তাঁরা। এর আগে গত ২১ এবং ২২ ফেব্রুয়ারি একটানা ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। সেদিনও যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে উপস্থিতির হার ছিল গড়ে ৯৫ শতাংশ। কর্মবিরতি সেভাবে সফল হয়নি বলাই চলে। আগামী ১০ মার্চের ধর্মঘট আদৌ সফল হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।
[আরও পড়ুন: যৌনসুখের বিনিময়ে পাক চরকে মিসাইল টেস্টের তথ্য পাচার, গ্রেপ্তার DRDO আধিকারিক]
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্যাটে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। আবেদনে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়ালেও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে SAT-এর রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট। কিন্তু সেই রায়ের পরেও মেলেনি ডিএ। এই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। আগামী ১৫ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন ঠিক কী রায় দেয় আদালত, সেদিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীরা।