সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারী নিয়ে সংকটকালে রাজ্যে উৎপাদিত অক্সিজেন (Oxygen)) যেন ভিন রাজ্যে না পাঠানো হয়, তার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানাল রাজ্য। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রকে বিষয়টি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তার জন্য আরও অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রকে এই আবেদন জানানো হয়েছে। রাজ্যে সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারিভাবে যে পরিমাণ অক্সিজেন উৎপাদিত হয়, তার পুরোটাই রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা প্রয়োজন এই মুহূর্তে।
সূত্রের খবর, এ রাজ্যে (West Bengal) চিকিৎসার জন্য দৈনিক ৪৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু ২০০ মেট্রিক টন ভিন রাজ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে কেন্দ্রের নির্দেশে। ফলে স্বভাবতই নিজ রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহে টান পড়ছে। এ নিয়ে শুক্রবার দুর্গাপুরে ভারচুয়াল সভা থেকে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা থেকে উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে, এই তথ্য দিয়ে তাঁর প্রশ্ন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে এভাবে অক্সিজেন দিলে বাংলা কোথা থেকে পর্যাপ্ত জোগান পাবে নিজেদের জন্য?
এমনকী টিকা সরবরাহ নিয়েও তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ”গুজরাটে ৬০ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে। আর বাকি টিকা অন্যান্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। বাংলায় সবচেয়ে কম ভ্যাকসিন দিচ্ছে কেন্দ্র।”
[আরও পড়ুন: হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস আয়কর দপ্তরের]
এই মূহুর্তে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় প্রতিকূলতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের অভাব। করোনার মিউট্যান্ট ভাইরাসে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সর্বাধিক। যে কোনও বয়সি আক্রান্তদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই যে কোনও মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য অনেক বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। সেই অক্সিজেনের উৎপাদন এবং সরবরাহ যথাযথ রাখতে বৃহস্পতিবারই উৎপাদন সংস্থা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অক্সিজেন সরবরাহে রেল, বায়ুসেনাকে ব্যবহার করার পাশাপাশি আন্তঃরাজ্য পরিবহণে কোথাও অক্সিজেনবাহী গাড়িকে আটকানো যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। তবে এসবের মাঝে এই রাজ্য থেকে অন্যত্র অক্সিজেন রপ্তানি যাতে বন্ধ থাকে, সেই মর্মে কেন্দ্রকে আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠাল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।