ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: স্বাস্থ্যদপ্তরের তালিকার বাইরে থাকা যে কোনও টিকাকরণ শিবিরই ‘বেআইনি’। এই ঘোষণার পর মঙ্গলবার টিকাকেন্দ্রগুলির তালিকা দেওয়া হল রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের (Health Department) ওয়েবসাইটে। দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যের মোট ২৭ টি স্বাস্থ্য জেলার কোথায় কতগুলি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চলবে, প্রতিদিন তার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব শিবিরের খোঁজ থাকবে সেখানে। দেওয়া থাকবে সেন্টারের ঠিকানা, কোড নম্বরও। এর বাইরে চলা কোনও করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রকে অনুমোদন দেয়নি স্বাস্থ্যদপ্তর।
কসবার ভুয়ো টিকা শিবির থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কড় পদক্ষেপ নিল রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর (Health Department, West Bengal)। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, এ ধরনের বেআইনি কারবার রুখতে হবে। তাঁর নির্দেশমতোই সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে ব্লু প্রিন্ট ছকে তা কার্যকর করল স্বাস্থ্যভবন। জানিয়ে দেওয়া হল, এবার থেকে প্রতিদিন দপ্তরের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করা হবে, যেখানে কোন জেলায় কতগুলি টিকাকেন্দ্র চলছে, তার যাবতীয় তথ্য থাকবে। সরকারি কেন্দ্রগুলির পাশপাশি বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি করোনা টিকা শিবিরের হদিশও থাকবে। এই শিবিরগুলি সবই স্বাস্থ্যদপ্তর অনুমোদিত।
[আরও পড়ুন: পুরনো ভাড়ায় বাস চালাতে নারাজ মালিকরা, করোনা কালে ‘স্পেশ্যাল ফেয়ার’ চালুর দাবি]
প্রতিদিন এই সংখ্যার হেরফের হতে পারে। মঙ্গলবার যেমন, স্বাস্থ্যদপ্তরের ওয়েবসাইটে রয়েছে মোট ১৬৩৩টি কেন্দ্রের নাম। অর্থাৎ মঙ্গলবার দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকার অনুমোদিত মোট ১৬৩৩ টি কেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine)। এর বাইরে যে কোনও শিবির স্বাস্থ্যদপ্তরের চোখে ‘বেআইনি’। অর্থাৎ টিকা নিতে গেলে প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যদপ্তরের ওয়েবসাইটে চোখ বুলিয়ে দেখে নিতে হবে, ওইদিন কোন জেলার কোথায় কোথায় কটি শিবির চলছে।
[আরও পড়ুন: ১ জুলাই রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
আসলে কসবায় (Kasba) ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল শহর। এই কেলেঙ্কারির প্রভাব পড়েছে সংলগ্ন জেলাগুলিতেও। ভ্যাকসিন নেওয়া সকলেই আতঙ্কিত এই ভেবে যে তাঁরাও এই প্রতারণার শিকার হননি তো? এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কড়া হাতে জালিয়াতি রুখে দেওয়ার পথে পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্যদপ্তর। মহামারী প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার তাড়নায় কেউ যাতে প্রতারণার ফাঁদে না পড়েন, আমজনতার জন্যই প্রতিদিন নিজেদের ওয়েবসাইটে টিকাকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।