নব্যেন্দু হাজরা: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও দক্ষিণবঙ্গের শীত (Winter) ভাগ্য অধরা। দেখা দিয়েও উধাও ঠান্ডা। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঘন কুয়াশার দাপট। দৃশ্যমানতাও কমে গিয়েছিল অনেকটাই। তার ফলে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে ব্যাহত বিমান ওঠানামা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কুয়াশার (Fog) দাপটে উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় দৃশ্যমানতা দুশো মিটারেরও কম হয়ে যায়। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় ঘন কুয়াশার সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে ঘন কুয়াশার সর্তকতা। দৃশ্যমানতা সকালে ২০০ মিটারেরও কম হতে পারে। এছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মতো প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও ঘন কুয়াশার সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কুয়াশার দাপটে উধাও শীত। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি বেশি। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি ছিল সোমবার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢেকেছে কলকাতা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা সরে গিয়ে মেঘমুক্ত আকাশের দেখা মিলবে। তবে কলকাতার তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে ১৫ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে কলকাতার পারদ।
[আরও পড়ুন: মঙ্গলবারের বন্ধে কড়া প্রশাসন, গোলমাল রুখতে রাস্তায় নামছে ৪ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী]
শুরুতে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছিল শীত। তাপমাত্রার (Temperature) পারদ নেমেছিল বেশ খানিকটা। হালকা শীতের আমেজও উপভোগ করতে শুরু করেছিলেন কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে একের পর এক নিম্নচাপ এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে বারবার বাধাপ্রাপ্ত উত্তরে হাওয়া। তার প্রভাবে স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে কুয়াশার দাপটে উধাও শীত। সব মিলিয়ে মনখারাপ শীতবিলাসীদের।