বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দেশের শিক্ষাব্যবস্থার (Education system) সার্বিক মানোনন্নয়নের লক্ষ্যে ‘স্ট্রেন্থনিং টিচিং-লার্নিং অ্যান্ড রেজাল্টস ফর স্টেটস’ সংক্ষেপে ‘স্টারস’ (Stars) প্রকল্প চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্পকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ৫,৮০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প দেশের ছ’টি রাজ্যে রূপায়িত হবে। ‘স্টারস’ কর্মসূচিতে হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কেরল এবং ওড়িশা-এই ছয় রাজ্যের শিক্ষার মানোন্নয়নে সব রকমের সাহায্য করা হবে।
পাশাপাশি আগামী দিনে আরও পাঁচ রাজ্য- গুজরাত, তামিলনাডু, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড ও অসমে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তহবিল সহযোগিতায় একই ধরনের আরও একটি কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর একথা জানিয়েছেন। তবে, দুটি কর্মসূচির তালিকাতেই বাংলার নাম নেই। তালিকায় থাকা রাজ্যগুলি একে-অপরের সঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সেরা পন্থা-পদ্ধতিগুলি নিয়ে আলোচনা এবং মত বিনিময় করবে।
[আরও পড়ুন: স্থগিত EMI-য়ের সুদে সুরাহা, কেন্দ্রকে দ্রুত সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
‘স্টারস’ কর্মসূচিতে শিক্ষাব্যবস্থায় সরাসরি উন্নয়নের পাশাপাশি শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। দেশের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তা কাজ করবে বলে জাভড়েকর জানিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, “এই কর্মসূচিতে নির্দিষ্ট রাজ্যগুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতীয় বিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান বৃদ্ধির উপর নজর দেওয়া হবে।”
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য স্তরের সঙ্গে জাতীয় স্তরেও শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নই কেন্দ্রের লক্ষ্য। এছাড়াও রাজ্যগুলির পিজিআই স্কোর বা প্রাপ্ত নম্বর আরও বাড়াতে শিক্ষা মন্ত্রককে সাহায্য করার দিকেও লক্ষ্য রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষণ মূল্যায়ন ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের মতো বিষয়গুলিতেও কাজ করবে এই প্রকল্প। এপ্রসঙ্গে জাভড়েকর আরও জানিয়েছেন, রাজ্যস্তরে প্রাক্-শৈশব শিক্ষা ও প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার উপর জোর দেওয়া হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সার্বিক দক্ষতা বাড়িয়ে বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করার দিকেও পদক্ষেপ করা হবে। তাছাড়া বিদ্যালয়গুলিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার বাইরে থাকা শিশুদের শিক্ষার মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনে তাদের কর্মজীবন গড়ে তুলতে সঠিক দিশা দেখানোর মতো বিষয়ও রয়েছে।