সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা মৃত! তাঁর পরিবারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকবার্তা প্রকাশ করে ফেলেছিল রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। তাও আবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর তরফে শোকবার্তা পাঠানো হয়েছিল। এদিকে মন্ত্রী তো দিব্যি বেঁচে রয়েছেন। পরে নিজেদের ভুলটা বুঝতেই তড়িঘড়ি সেই শোকবার্তা তুলেও নেয় তাঁরা। কিন্তু বুধবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন, রাজ্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এক দপ্তর এমন বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি কীভাবে তৈরি করল? যদিও বিষয়টি যে ভুলবশতই হয়েছে, সেই শোকবার্তা সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলে তেমনই বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
এদিন জানা যায়, রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা (Manturam Pakhira) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হলে, সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর পরই সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তিনি সুস্থই আছেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন : উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪ দিন লকডাউন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট করে ধৃত যুবক]
কিন্তু বুধবার বেলার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বলা হয়, রাজ্যের মন্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে মন্টুরাম পাখিরার পরিবারের উদ্দেশে শোকপ্রকাশ করে পাশে থাকার বার্তা দেয়। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দ্রুত সেই বিবৃতি তুলেও নেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নেটিজেনদের প্রশ্ন, রাজ্যের এক মন্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে কীভাবে ভুয়ো খবর ছড়াল? কেউ কেউ তো সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, কীভাবে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হল দপ্তর? যদিও অনেকেই শাসকদলের পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, এমনটা ভুলবশতই হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে এত জলঘোলার প্রয়োজন নেই।
[আরও পড়ুন : বিহার থেকে কলকাতায় পাচারের ছক, প্রায় সাড়ে সাতশো টিয়াপাখি-সহ ধৃত বর্ধমানের ২ যুবক]
The post করোনা আক্রান্ত হয়ে মন্টুরাম পাখিরার ‘মৃত্যু’তে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ভুল বুঝেই ডিলিট বার্তা appeared first on Sangbad Pratidin.