অভিষেক চৌধুরী, কালনা: লোকসভা ভোটের আবহে বন্দুক নয়, বডি ক্যামেরাই যেন পুলিশের হাতিয়ার! বিভিন্ন ঘটনা ও বিশেষ অভিযানে এর আগে শহরাঞ্চলে এই ক্যামেরা দেখা গেলেও গ্রামীণ এলাকায় সেইভাবে সচরাচর চোখে পড়ত না। তবে ভোট আবহে সেই বডি ক্যামেরাই যেন বারবার চোখে পড়েছে। বলাই যায়, তা যেন পুলিশের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তথ্যপ্রমাণকে ক্যামেরাবন্দি করতেই বডি ক্যামেরাই যেন হাতিয়ার হয়ে উঠেছে তাদের। তাই এখন আর শুধু বিশেষ অভিযানেই নয়, বেশিরভাগ সময়ই পুলিশের পোশাকে আঁটা থাকতে দেখা গিয়েছে এই বডি ক্যামেরা। কালনা মহকুমা এলাকাতেও পুলিশি পোশাকে সেই ছবি ধরা পড়ায় অজানা অনেকেরই মনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। যদিও এক পুলিশ কর্তার কথায়,কালনা মহকুমার বিভিন্ন থানায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বডি ক্যামেরা রয়েছে। ভোটের সময় তার ব্যবহার একটু হলেও বেড়েছে।
বিশেষ কোনও অভিযানে বের হলে পরিবহণ দপ্তর, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর বা পুলিশ আধিকারিকদের শরীরে লাগানো থাকে এই বডি ক্যামেরা। যা সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু হলে কী হবে, লোকসভা ভোট চলাকালীন কালনা মহকুমার থানা এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টরের পোশাকে দিনেরাতে, এমনকী বিক্ষোভরত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলার সময়েও পোশাকে এঁটে থাকা বডি ক্যামেরা চোখে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, কাজের সুবিধার্থেই এই বডি ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে। কোথাও কোনও গোলমালের সূত্রপাত হলে সামনের ব্যক্তি কী বলছেন, কী করছেন, এছাড়া ওই পুলিশ আধিকারিক কি বলছেন সবই ভিডিও আকারে রেকর্ড হয়ে যায়। পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উঠলেও কে আসল দোষী উন্নত প্রযুক্তির এই ক্যামেরায় থাকা ডিভাইস থেকে পরে তা জানা যায়।
[আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বে গেরুয়া ঝড়, অরুণাচলে বড় জয়ের পথে BJP, সিকিমেও জোট শরিকের জয়-জয়কার]
স্বাভাবিক কারণেই লোকসভা ভোটে বিভিন্ন এলাকায় হওয়া বিভিন্ন ঘটনা, অশান্তি বডি ক্যামেরার এই কার্যকরী ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। কালনা এসডিপিও রাকেশ কুমার চৌধুরী বলেন, “এলাকার উপর নির্ভর করে এই বডি ক্যামেরা কোথাও কম কোথাও বেশি রয়েছে। কালনা মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বডি ক্যামেরা রয়েছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘটনায় কে কোন ভূমিকায় রয়েছে তার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় বডি ক্যামেরায় তোলা ছবি থেকে।তদন্তে সাহায্য করে।আগের তুলনায় বডি ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে।”