সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকেই আসাদউদ্দিন ওয়েইসিকে কংগ্রেস, তৃণমূলের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। বিহার ভোটের পর থেকেই কংগ্রেস বলতে শুরু করেছে AIMIM বিজেপির ‘বি টিম’। ওয়েইসি এরাজ্যের নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার একযোগে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ এই দুই শিবিরকে পালটা দিলেন AIMIM সুপ্রিমো। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেসকে। বিঁধলেন তৃণমূলকেও।
ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi) মূল নিশানা ছিল কংগ্রেস। হায়দরাবাদের সাংসদের কথায়, কংগ্রেস দলটা একটা সময় রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু এখন ‘ব্যান্ড-বাজা’ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। বিজেপির বি টিম বলে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়, তা প্রত্যাখ্যান করে মিম সুপ্রিমো বলছেন, “একটা ব্যান্ড বাজা পার্টি, যেটা কিনা একসময় কংগ্রেস দল হিসেবে পরিচিত ছিল, তারা বলছে আমি নাকি বিজেপির বি টিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এইসব কথা বলা শুরু করেছেন। বুঝতে পারছি না, আমাকে নিয়ে ছাড়া ওদের কি বলার মতো কিছু নেই?” প্রসঙ্গত, বিহার ভোটে ‘সাফল্যে’র পরই বাংলার দিকে নজর দিচ্ছে ওয়েইসির দল AIMIM। বাংলায় মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে টার্গেট করেছে MIM। যা আসলে তৃণমূলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। মুর্শিদাবাদ এবং মালদহে আবার প্রভাব রয়েছে কংগ্রেসের। ওয়েইসির দলও এই এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে। আর সম্ভবত সেকারণেই, বিজেপির থেকে কংগ্রেস-তৃণমূলকেই নিশানা করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘আমরাও কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় রাজি’, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর সুর নরম কৃষকদের]
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বাংলার রাজনীতিতে ওয়েইসির এই আগমন ভোট কাটাকাটির অঙ্কে সুবিধা করে দিতে পারে বিজেপির। আর তা বুঝতে পেরে আগে থেকেই সতর্ক তৃণমূল। ইতিমধ্যেই মিমের বেশ কিছু নেতা সদলবলে যোগ দিয়েছেন শাসকদলে। এমনকী, দলের গোটা যুব সংঠনটাই শামিল হয়েছে তৃণমূলে (TMC)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অভিযোগ করেছেন,”অর্থের বিনিময়ে বাংলার সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাতে আসছে মিম। ” কিন্তু মিম সুপ্রিমোর দাবি, “আমি কারও পক্ষে নয়, আমি শুধু জনতার পক্ষে।”