সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারীর দাপট আগের তুলনায় কমায় কড়া বিধিনিষেধ এখন অনেক শিথিল। নতুন করে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় বাংলা। তবে প্রতিপদে রয়েছে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ভয়। আর তার মধ্যেই রাজ্যে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে টিকার অভাব। এসবের মধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর জানাল, গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে সংক্রমণ। ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেটও।
শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার (Corona Virus) কবলে পড়েছেন ৭৬৯ জন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত কমে ৭৫ জন। সংক্রমণের নিরিখে এদিনও অবশ্য ফের তিলোত্তমাকে ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ৮৯ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৩। চিন্তায় রাখছে উত্তরের দুই জেলা দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি। রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল দার্জিলিংয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। জলপাইগুড়িতে আক্রান্ত ৬১ জন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫ লক্ষ ২৮ হাজার ১৯ জন। পজিটিভিটি রেট বেড়ে হল ১.৮২ শতাংশ। একদিনে ভাইরাসের বলি ৮ জন।
[আরও পড়ুন: বাংলায় চালু ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’, এবার ভিনরাজ্যে গেলেও মিলবে খাদ্যসামগ্রী]
তবে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮১৯ জন। এ নিয়ে মোট ১৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.০৯ শতাংশ। তবে প্রত্যাশামতোই প্রতিদিনই কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ১১ হাজার ১১৩ জন। করোনা রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২ হাজার ২০৯ জনের।
এদিকে, সাতসকালে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় ধুন্ধুমার মানিকতলার ইএসআই হাসপাতালে। রাত জেগে লাইন দিয়েছিলেন ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ জানা যায়, চাহিদা অনুযায়ী টিকা নেই। অথচ আজই রাজ্যে এসেছে ২ লক্ষেরও বেশি কোভ্যাক্সিন ও সাড়ে আট লাখ কোভিশিল্ডের ডোজ। কিন্তু ভ্যাকসিনের অনেক ডোজ কলকাতার পাশাপাশি বেশি পরিমাণে পাঠানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গ ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে। তাই এমন ঘটনা ঘটায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ টিকার লাইনে দাঁড়ানো লোকেরা। তবে স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাচ্ছে না রাজ্য। সম্প্রতি কেন্দ্র কার্যত মেনেই নিয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যের তুলনায় কম টিকা পাচ্ছে বাংলা। এবার রাজ্যবাসীর টিকা নেওয়ার আগ্রহ বাড়ায় টিকাকরণ আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছে।