সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্যান্য রাজ্যের মতোই বাংলাতেও অক্সিজেনের আকাল। হাসপাতালে বেডের অভাব। বিনা চিকিৎসায় প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। করোনার দ্বিতীয় ইনিংসে ভয়াবহ করুণ পরিস্থিতি বাংলার। আর এমন সময় স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যানে নতুন করে বাড়ল উদ্বেগ। একদিনে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১৪ হাজারের গণ্ডি। তবে আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে টেস্টিং।
শনিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার (Corona Virus) কবলে পড়েছেন ১৪, ২৮১ জন। যার মধ্যে শহর কলকাতায় একদিকে আক্রান্ত ২,৯৭০ জন। করোনায় আক্রান্ত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ। এক হোটেলে নিভৃতবাসে রয়েছেন ৮৬ বছরের প্রবীণ সাহিত্যিক। সংক্রমণের নিরিখে প্রত্যাশিতভাবেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ২,৮২১ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৮২২। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৭৯৭ ও ৬২৩ জন। ভোটের আগে উল্লেখযোগ্যভাবে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে বীরভূমে। একদিনে সেখানে আক্রান্ত ৬৯৪ জন। এদিকে, করোনা আবহের মধ্যেও পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমণের উৎসাহ কমেনি। ফলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দার্জিলিংয়েও। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৫০৪ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৬১ জন। একইসঙ্গে এই ভাইরাস এখনও কেড়ে চলেছে মানুষের প্রাণও। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি ৫৯ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৮৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।
[আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষ ও মিঠুনের সভায় পাঁচশোর বেশি জমায়েত, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল]
এদিকে, গত কয়েকদিনের মতোই উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের একলাফে অনেকখানি বাড়ল রাজ্যের অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৮১ হাজার ৩৭৫। এই বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেসের জন্যই হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে বেড সংকট। এর মধ্যে আবার স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, করোনা রোগীকে রেমডেসিভির দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে তা হাসপাতালকেই জোগাড় করতে হবে। পরিবারের লোককে এই ওষুধ আনার কথা বললে চলবে না।
তবে করোনা ভাইরাস সঙ্গে লড়াইয়ে ভরসা জোগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭,৫৮৪ জন। এ নিয়ে মোট ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮০২ জন করোনাজয়ী। উদ্বেগ বাড়িয়ে সুস্থতার হার গতকালের তুলনায় ফের কমল। বর্তমানে ৮৭.৩৩ শতাংশ মানুষ মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দেশজুড়ে টিকাকরণের পাশাপাশি বাড়ছে টেস্টিংও। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ হাজার ৬০ জনের।