সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভায় ১০টি কমিটি বিরোধী বিজেপিকে (BJP) ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শাসকদল। এর মধ্যে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যেমন রয়েছে তেমন রয়েছে কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও শ্রম। ইতিমধ্যেই বিজেপির কাছ থেকে কমিটির চেয়ারম্যানদের নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বিজেপি ছাড়া রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী বিধায়ক বলতে একমাত্র ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নওসাদ সিদ্দিকি। বাম এবং কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি এবারের বিধানসভায় নেই। শাসকদল যে যে কমিটিগুলি বিরোধীদের জন্য ছাড়তে চাইছিল,তার সবগুলিই ছাড়া হয়েছে বিজেপির জন্য।
বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। ২৬টি স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ১৫টি বিধানসভার কমিটি। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। রাজ্য সরকারের যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের অডিটে পিএসির চেয়ারম্যানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথা অনুযায়ী, এই কমিটি বিরোধীদের দায়িত্বে থাকে। যদিও এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। এখন প্রশ্ন হল, কে হবেন এই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান? ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনেও এই নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানকে (Abdul Mannan) টপকে PAC চেয়ারম্যানের পদটি দখল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল তাতে রাজি না হওয়ায় শেষপর্যন্ত মানসবাবু দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদান করেন। এবারেও যে এই PAC চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে বিজেপির অন্দরে কোনও টানাপোড়েন হবে না, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ত্রাণ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু উল্টোডাঙার বাসিন্দার, আহত অনেকে]
আসলে, প্রথমবার বঙ্গ বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে বিজেপি। গত বিধানসভায় যেখানে তাঁদের মাত্র ৩টি আসন ছিল, সেখানে এবারে তাঁদের দখলে ৭৭টি আসন। এর মধ্যে দুজন বিধায়ক পদত্যাগ করায় এখন রাজ্য বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরের আসন সংখ্যা ৭৫। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বেছে নিয়েছে বিরোধী নেতা হিসেবে। তবে, শোনা যাচ্ছে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। শোনা যাচ্ছে, বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ির নাম PAC চেয়ারম্যান পদে ভাবতে পারে বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাকি বিধানসভার অন্দরে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হিসেবে অশোককেই চাইছে। এই পদের বিধায়ক মুকুল রায়ের নামও শোনা যাচ্ছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, মুকুলের তুলনায় এই পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অশোক।