ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: বাবা মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ। তাই সাত বছরের সন্তানের যে ওমিক্রন (Omicron) হবে এমনটা সম্ভবত স্বপ্নেও ভাবেননি কেউ। দ্বিতীয়ত, ঝুঁকিহীন দেশের মধ্যে পড়ে আমিরশাহী। তাই সাত বছরের শিশুটির রিপোর্ট জানারও অপেক্ষা করা হয়নি। ১১ ডিসেম্বর সকালে হায়দরাবাদ থেকে বিমানে সোজা দমদম চলে আসে পরিবারটি। বস্তুত, এই দুটি বিষয় বুধবার দুপুর থেকে ঘুরপাক খাচ্ছে স্বাস্থ্যভবনে।
আর সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে (Ministry of Health) আরও বিশদ নিয়ম জানতে চাইছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্যভবনের প্রশ্ন, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে না এলেও কোনও বিমানযাত্রীর কি কোভিড (COVID-19) পরীক্ষা করতে হবে? তাঁদের কী কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের আওতায় আনা হবে? দ্বিতীয়ত, প্রশ্ন উঠেছে এখন থেকে আন্তঃরাজ্য উড়ানে আসা বিমানযাত্রীদেরও কোভিড পরীক্ষার আওতায় আনা হবে? যুক্তি হিসাবে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর মন্তব্য,“দমদম বিমানবন্দরে ওই পরিবারকে আন্তঃরাজ্য বিমানযাত্রী হিসাবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই নতুন করে কোভিড পরীক্ষা হয়নি।” কিন্তু আগামী দিনে কি এমন পরীক্ষা হবে তার কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে?
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৫৫৪, মৃত্যু ১৩ জনের]
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বুধবার সকালে তেলেঙ্গানা সরকার থেকে জানানো হয়, সাতবছরের ওই শিশুর ওমিক্রন পজিটিভ। তবে ঘটনা হল, ১১ তারিখ সকালেই দমদম বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে নিজেদের গাড়িতেই মুর্শিদাবাদের ফালাকাটা চলে যায়। বাবা বাড়িতে থাকলেও শিশুকে নিয়ে তার মা চলে যান মালদহ জেলার কালিয়াচক থানা এলাকায় মামার বাড়ি। সেখানেই শিশুটির হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিভিন্ন রাজ্যকে কোভিড পরীক্ষা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেয়। পরামর্শ দেওয়া হয়, আরও টিকাকরণের উপর।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভরতি মুর্শিদাবাদের ওমিক্রন আক্রান্তের বাবা ও দিদি, বাড়ছে আতঙ্ক]
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা অনির্বাণ দলুইয়ের কথায়,“ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রামক। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই সময়ে যখন বিভিন্ন দেশে সংক্রমন উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বলে আলাদা করে কিছু পার্থক্য করা উচিত হবে না। তাই বিদেশ থেকে যারাই আসবেন তাঁদেরই কোভিড পরীক্ষা করতে হবে। একইসঙ্গে বিদেশ ফেরত কোভিড পজিটিভ যাত্রীদের সংস্পর্শে যাঁরাই আসবেন তাঁদের কঠোরভাবে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করতেই হবে। এবং প্রয়োজনে কোয়ারান্টাইন বা নিভৃতবাসে থাকতে হবে।