সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি ছড়ানো, বোমাবাজির অভিযোগ। আর লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রাক্কালে সেই মামলায় ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে। ভাঙড়ের আরাবুলের প্রভাব, সংগঠক হিসেবে কাজ, নির্বাচনী কৌশল নিঃসন্দেহে শাসকদলের কাছে বড় শক্তি। এহেন আরাবুল জেলবন্দি হওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবার সিউড়িতে প্রশাসনের তরফে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে দলনেত্রী বলেন, ”আমরা কি পারি না গদ্দারদের গ্রেপ্তার করতে? কিন্তু একটু সময় দিচ্ছি, সুতো ছাড়ছি।” তাঁর এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট নিশানা কে বা কারা।
চলতি মাসেই কাশীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরাবুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অশান্তি, অস্ত্র রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। সেসব মামলাতেই গ্রেপ্তার বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তা নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি সিউড়ির (Suri) সভা থেকে বলেন, ”ভাঙড়েও আরাবুলকে গ্রেপ্তার করে রেখেছে। আমরা কি পারি না গদ্দারদের গ্রেপ্তার করতে? কিন্তু একটু সময় দিচ্ছি, সুতো ছাড়ছি। গদ্দারদের বিরুদ্ধে তো চুরি, দুর্নীতির অভিযোগ কম নেই।”
[আরও পড়ুন: সারদা দেবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট, তথাগতর তোপে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি]
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তার পর থেকেই তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে চিহ্নিত করেছে তৃণমূল। এদিন সিউড়িতে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে ‘গদ্দার’ শুনে ওয়াকিবহাল মহলের মত, শুভেন্দুকেই নিশানা করেছেন তিনি।