সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তানের মৃত্যুর চেয়ে বড় শোক হয় না। সেই শোক পেয়েছেন তিনি। সোমবার গলা কাটা অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কারারক্ষী বাহিনীর ডিজিপি (DGP) হেমন্ত কুমার লোহিয়ার (Hamant Kumar Lohia) দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, হেমন্তকে খুন করেছেন তাঁর পরিচারক। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ইয়াসির আহমেদকে। গোটা ঘটনায় হতবাক জম্মু ও কাশ্মীরের কারারক্ষী বাহিনীর ডিজিপির মা। শোকেগ্রস্ত মা প্রশ্ন তুললেন, “কার সঙ্গে অন্যায় করেছিল আমার ছেলে?” কেন মরতে হল তাঁকে?
বুধবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় প্রাক্তন ডিজিপিকে। সেখানে হাজির ছিলেন হেমন্তের মা। সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, “কী ভুল করেছিল ও? কার সঙ্গে কী অন্যায় করেছিল আমার ছেলে? আমরা ওকে গাড়ি কিনতে বলেছিলাম। কিন্তু ও বলেছিল, কষ্ট করে উপার্জন করা সরকারি পয়সা। এভাবে খরচ করব না।” ছেলেকে কেন হত্যা করা হল? হত্যাকারী পরিচারকের বিষয়ে তাঁর কিছু জানা ছিল কি? এই প্রশ্নের উত্তরে ডিজিপির মা বলেন, “গত ১৫ দিন ছেলের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। ফলে এই পরিচারক সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না তাঁর।”
[আরও পড়ুন: রাবণ নয়, দশেরায় ইডি-সিবিআইয়ের কুশপুত্তলিকা পুড়ল মোদির গুজরাটে]
মঙ্গলবারই পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত ইয়াসির আহমেদ। তল্লাশি অভিযানে পাকড়াও করা হয় ডিজিপি খুনে অভিযুক্ত পরিচারককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত করছে ভূস্বর্গের পুলিশ। তদন্তকারীদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত জঙ্গি হামলার সূত্র মেলেনি। ফলে কেন নৃশংস ভাবে কারা বিভাগের ডিজিপিকে হত্যা করা হল, তা কার্যত এখনও অন্ধকারে।
[আরও পড়ুন: মসজিদে আজানের শব্দ, বক্তৃতা থামালেন অমিত শাহ]
সোমবার গলা কাটা অবস্থায় জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি হেমন্ত কুমার লোহিয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর সরকারি বাসভবন সংস্কারের কাজ চলায় বর্তমানে এক বন্ধুর বাড়িতে সপরিবার থাকছিলেন লোহিয়া। দু’মাস আগেই কারা বিভাগের ডিজিপি হিসাবে কাজে যোগ দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ডিজিপিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে তাঁর গলা কাটা হয়। দেহ পোড়ানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। লস্কর-ই-তইবার ভারতীয় শাখা ‘পিপিলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফোর্স’ (পিএএফএফ) ডিজিপি হত্যার দায় নিলেও পুলিশের ধারণা মানসিক অবসাদ থেকে পরিচারক ইয়াসির ডিজিপিকে খুন করেছে।