সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি 'চেন স্মোকার'? ধূমপানের বদভ্যাস থেকে মুক্তি চান, অথচ কিছুতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। এবার আপনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রথম মারণ নেশার থেকে মুক্তির গাইডলাইন প্রকাশ করল WHO। ওই নির্দেশিকায় আচরণগত বদলে কাউন্সিলিং, 'ওষুধ' এবং সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে।
গোটা বিশ্বের ৭৫ কোটি মানুষ ধূমপানের নেশায় আসক্ত। তার মধ্যে সিগারেট, বিড়ি, জর্দার পাশাপাশি ধোয়াহীন তামাক, সিগার, রোল করা তামাক, উষ্ণ তামাকও রয়েছে। স্থান ভেদে বদলে যায় নেশার ধরন। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ৬০ শতাংশ মানুষ তামাকের নেশা ছাড়তে আগ্রহী। যদিও এদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সিগারেট-বিড়ির ছাড়ার মতো অনুকূল পরিবেশ তথা সাহায্য পান না। হু-র হেল্থ প্রমোশন ডিরেক্টর জানিয়েছেন, "ধূমপান ছাড়া সহজ কাজ নয়। আমাদের বুঝতে হবে যে এর জন্য রীতমতো শক্তিক্ষয় হয়। আসক্তি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে ধূমপায়ী এবং তাঁদের পরিবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায়।" এই অবস্থায় হু-র গাইডলাইন কী বলছে?
[আরও পড়ুন: রেলগেট খোলা অথচ সিগন্যাল সবুজ, বরাতজোরে দুর্ঘটনা এড়াল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তাদের দাবি, আচরণ বা অভ্যাস বদলের সঙ্গে ওষুধের সংমিশ্রণ সফলভাবে ধূমপান ছাড়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন দেশের সরকারকে কম কিংবা বিনা খরচে আসক্তদের সাহায্যের পরামর্শও দিয়েছ হু। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত অঞ্চলে 'গাইডলাইন' ধূমপায়ীদের সাহায্যের পরামর্শ দিয়েছে হু। পাশাপাশি তামাক ছাড়ার কার্যকরী চিকিৎসা হিসেবে ভেরেনিক্লিন, নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (এনআরটি), বুপ্রোপিয়ন এবং সাইটিসিনের মতো ওষুধের সুপারিশ করেছে WHO।
[আরও পড়ুন: মর্গে লাশের পাহাড়, হাথরাসে মৃত্যুমিছিল দেখে অসুস্থ পুলিশকর্মী, ২০ মিনিট পর মৃত্যু!]
২০২৩ সাল থেকেই প্রস্তাবিত তামাক ছাড়ার ওষুধগুলি বিশ্বব্যাপী যাতে সহজলভ্য হয়, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রথমবার 'নিকোটিন গাম'কে অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যা একটি NRT প্রোডাক্ট। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে কাউন্সিলিংয়েরও পরামর্শ দিয়েছে হু। দলবদ্ধভাবে কিংবা এককভাবে হতে পারে এই কাউন্সিলিং। এছাড়াও ফোনে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে নেশামুক্তি সচেতনতা প্রচারের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।