সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৩ সালে প্রথমবার নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। দশ বছর পর তিনিই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মসনদে। তাও আবার হেভিওয়েট নেতা, বিগত মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে সরিয়ে। বাস্তবিক মহাচমক শব্দবন্ধের সমার্থক হয়ে উঠলেন মোহন যাদব (Mohan Yadav)। যার গলায় মঙ্গলবার স্বাগত-মাল্যদান করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, নরেন্দ্র সিং তোমর, প্রহ্লাদ প্যাটেলের মতো প্রাক নির্বাচনী পর্বের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীরা। কিছু করার নেই। হাই কমান্ডের পছন্দ বলে কথা। এখানেই প্রশ্ন, কে এই মোহন যাদব? তরুণ নেতার উপর আস্থা রাখল কেন দিল্লির দরবার?
১৯৬৫ সালের ২৫ মার্চ উজ্জয়িনে জন্ম মোহন যাদবের। ১৯৮২ সালে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে গিয়ে কলেজে ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৯৮৪ সালে আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগ দেন। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ওয়েবসাইট বলছে, আইন এবং এমবিএ ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। তিনি পিএইচডিও করেছেন। ব্যবসাতেও সফল। তথাপি রাজনীতিকে পাখির চোখ করেন। ২০১৩ সালে প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান। উজ্জয়িন দক্ষিণ কেন্দ্র বিধায়ক নির্বাচিত হন। এই কেন্দ্রেই টানা তিনবারের বিধায়ক। বিগত শিবরাজ সরকারে ছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী। এর পরেই একলাফে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৫৭ বছরের মোহন। কেন?
[আরও পড়ুন: শবরীমালায় হুড়োহুড়ি, দর্শনে এসে মৃত্যু বালিকার]
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, অন্যতম কারণ জাতপাতের রাজনীতির সমীকরণ। ওবিসি মুখ মোহনকে ভেবেচিন্তেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে গোবলয়ের এই রাজ্যে। প্রথম থেকেই জাতিগত জনগণনার বিরোধিতা করছে বিজেপি। অন্যদিকে পালটা চাল হিসেবে ছত্তিশগড়ের পর মধ্যপ্রদেশেও সমাজে ‘পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের’ প্রতিনিধিকে মুখকে মুখ্যমন্ত্রী করা হল। লক্ষ্য আসন্ন লোকসভা ভোটে বিপুল জয়। বিজেপির এই কৌশল কতটা কার্যক্ষেত্রে সফল হবে তা আগামী সময়ই বলে দেবে।