সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর উপর হামলার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বছর আটান্নর প্রৌঢ় রায়ান ওয়েসলি রাউথকে। উদ্ধার হয়েছে একটি একে-৪৭ রাইফেল। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, সশস্ত্র লড়াইয়ে প্রবল আগ্রহী রাউতকে এর আগেও গ্রেপ্তার করেছিল মার্কিন পুলিশ।
নিউইয়র্ক টাইমস অনুযায়ী, প্রাক্তন নির্মাণকর্মী রায়ান রাউত গ্রিনসবোরো এলাকার বাসিন্দা। এমনিতে মার্কিন সেনার সঙ্গে বহুদূর পর্যন্ত তাঁর কোনও যোগ না থাকলেও, সশস্ত্র সংঘর্ষে রাউতের যে তীব্র আগ্রহ তা তাঁর সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যায়। বিশেষ করে রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের সময় সোশাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে তিনি আবেদন জানান, ইউক্রেনে গিয়ে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মরতে চান। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'আমি স্বেচ্ছায় ইউক্রেনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে লড়তে প্রস্তুত। প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত।' অতীতে একবার নিজের হোয়াটস অ্যাপ বায়োতে তিনি লিখেছিলেন, 'মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের লক্ষ্যে আমাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের সকলের উচিত চিনাদের সাহায্য করা।'
তবে শুধু সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা নয়, ২০২৩ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি যুদ্ধের চেষ্টাকে সমর্থন করতে এবং আফগান সৈন্যদের যুদ্ধে নিয়োগ করতে ইউক্রেনেও নাকি গিয়েছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, রাউতকে ২০০২ সালে প্রথমবার গ্রেপ্তার করেছিল মার্কিন পুলিশ। সেবার গ্রিনসবোরোতে একটি বাড়িতে অত্যাধুনিক বেআইনি বন্দুক-সহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সেই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল তা স্পষ্ট হয়নি।
উল্লেখ্য, রবিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন ২টো (ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা)। ফ্লোরিডায় গল্ফ ক্লাবে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সেই সময় ট্রাম্প লক্ষ্য করে মাত্র ৪৫০ মিটার দূর থেকে পর পর গুলি চালায় রাউত। তাকে লক্ষ্য করে সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা গুলি চালান। যদিও একটি কালো গাড়িতে করে পালিয়ে যায় সে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। তবে রাউতের বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য কিনা তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।