নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনিক প্রসারে কংগ্রেসের গাত্রদাহ কেন? এবার সরাসরিই প্রশ্ন তুললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার সংসদ ভবনে তৃণমূলের দলীয় দপ্তরে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থেকে শুরু করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, সব বিষয়েই জবাব দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বলেন, “কংগ্রেসের কেন এত গাত্রদাহ? আমরা নিজেদের দলের প্রসার তো করবই। পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সিপিএমকে (CPIM) নিয়ে, আইএসএফকে নিয়ে জোট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চেষ্টা করবে, তার বেলা কোনও দোষের নেই? আমরা অন্য জায়গায় সংগঠন বাড়ালেই কংগ্রেসের যত আপত্তি। কেন এত আপত্তি কিসে?”
তৃণমূল বেশ কিছু রাজ্যে মাটি মজবুত করা শুরু করাতে কংগ্রেস (Congress) শিবির থেকে বিভিন্ন ‘অভিযোগের তীর’ ধেয়ে এসেছে। সেগুলিকে যে তিনি বা তাঁর দল মোটেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয়, সেকথা স্পষ্ট ভাষাতেই বুঝিয়ে দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এখন তো তৃণমূল কংগ্রেস যা করে কংগ্রেস তাই ফলো করে। নাগাল্যান্ড ইস্যুতেই দেখুন না। আমরা আগে প্রতিনিধিদল সেখানে পাঠালাম তারপর ওরা পাঠাল। এখন আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দিচ্ছি। এরপর দেখবেন আমাদের দেখাদেখি ওরাও প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে।”
[আরও পড়ুন: হরিয়ানায় খুলল প্রথম দলীয় কার্যালয়, বাংলার বাইরে সংগঠন পোক্ত করছে তৃণমূল]
দলের সংগঠন বিস্তারে তৃণমূলের লক্ষ্য যে বৃহৎ, পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, “সংগঠন বিস্তারের বিষয়ে একটা কথা বলতে পারি। আমরা যেখানে যাব সেখানে থার্ড বা ফোর্থ হওয়ার জন্য যাব না। হয় ক্ষমতা দখল অথবা প্রধান বিরোধীদল হাওয়াই লক্ষ্য। দুই বা পাঁচ শতাংশ ভোটের জন্য কোথাও গিয়ে কোনও লাভ নেই। কোনও রাজ্যের ৫০টি আসনে আমরা লড়লাম সেখানে একটা বা দুটো আসন পেলাম, তাতে কোনও লাভ নেই।”
[আরও পড়ুন: আফস্পার অপব্যবহার হবে না, তৃণমূল প্রতিনিধিদের আশ্বাস অমিত শাহর]
তিনি আরও বলেন, “কোনও রাজ্যের ঘটনা নিয়ে আমরা সরব হচ্ছি, সবসময় তার মানে এটাই নয় যে সেখানেই আমাদের দলের সংগঠনের বিস্তার করতে চলেছি। আফস্পা (AFSPA) নিয়ে আমাদের দাবি, কেন্দ্র এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক। আফস্পার বাংলায় প্রভাব নেই, কিন্তু এটা আমরা অবশ্যই জানতে চাইব। এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যের ঘটনাতে আমরা সবসময় নিজেদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি। হাথরসের ঘটনার পরেও তৃণমূলের প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়েছে। নাগাল্যান্ডে জোর করে প্রতিনিধি দল পাঠাতে পারতাম, কিন্তু এটা জোর করার বিষয় নয়। বা সেখান থেকে কোনও রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া নয়। এখানে সবথেকে বড় বিষয় হল মানবিকতার প্রশ্ন।”