shono
Advertisement

মেঘলা আকাশ সত্ত্বেও কেন রোয়িংয়ের অনুমতি? রবীন্দ্র সরোবরে ছাত্রমৃত্যুতে একাধিক প্রশ্নের ভিড়

রোয়িংয়ের ইতিহাসে রবীন্দ্র সরোবরে এর আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
Posted: 10:39 AM May 22, 2022Updated: 05:59 PM May 22, 2022

কৃষ্ণকুমার দাস: কালবৈশাখীর মাঝে রোয়িং করতে গিয়ে দুই কিশোরের প্রাণহানির ঘটনায় তিলোত্তমায় শোকের ছায়া। রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra Sarobar) এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। মৃত্যুর নেপথ্যে দায় কার, তা নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। সন্তান হারানোর শোকে চোখের জলে ভাসছেন নিহতদের বাবা-মা এবং আত্মীয় পরিজনরা।

Advertisement

রবিবার স্কুল পর্যায়ের রোয়িং (Rowing) টুর্নামেন্টের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল রবীন্দ্র সরোবরেই। বস্তুত সেই কারণে বেঙ্গল রোয়িং ক্লাব, লেক ক্লাব, ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবের পাঁচটি বোট নিয়ে শনিবার বিকেল থেকে সরোবরে অনুশীলন করছিল ছাত্ররা। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ে আছড়ে পড়ে। রবীন্দ্র সরোবরে উলটে যায় রোয়িং বোট। তাতেই ছিল সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়ারা। প্রাণ হারায় নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া পূষণ সাধুখাঁ এবং সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায়। পূষণের বাবা উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি। সন্ধে ৭টা নাগাদ দুই কিশোরের নিথর দেহ জল থেকে উদ্ধার করেন দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরাই। উদ্ধার করে পূষণকে ঢাকুরিয়ার আমরি ও সৌরদীপকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’জনকেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

[আরও পড়ুন: কোভিডে মৃত্যু বাবার, মা শয্যাশায়ী, মানসিক অবসাদে ‘আত্মহত্যা’ একই পরিবারের ৩ সদস্যের]

এই ঘনায় একাধিক প্রশ্নের ভিড়। প্রশ্ন উঠেছে, বোট উলটে দুই ছাত্র তলিয়ে যেতেই সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকারী টিম ও রোয়িং কোচরা কি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন? নাকি, উদ্ধারকারী বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও ডুবুরি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিল? শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ আকাশ কালো করে মেঘ ঘনিয়ে এলেও কেন জলে রোয়িং করতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হল ছাত্রদের? যদিও ক্লাব কর্তাদের দাবি, আচমকা কালবৈশাখী আছড়ে পড়েছে। লেক ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক দেবব্রত দত্ত দাবি করেন, “রোয়িংয়ের ইতিহাসে রবীন্দ্র সরোবরে এর আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি। রোয়িং যারা করছিল, সবাই সাঁতার জানত। সম্ভবত, জলে পড়ে যেতেই আতঙ্কে এই দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ।

খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন মেয়র। পরিবেশ আদালতের পেট্রল বোট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। মেয়র বলেন, “একটি ছেলের জীবন বেশি মূল্যবান না সরোবরের মাছের প্রাণ বেশি দামি? যাঁরা মাছের কথা ভেবে উদ্ধারকারী পেট্রলচালিত স্পিড বোট বন্ধ করলেন তাঁরা এখন কী বলবেন? দুর্ঘটনার সময় মাত্র একটি উদ্ধারকারী বোট রাখলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত?” রবি ও সোমবার ক্লাব বন্ধ রেখেছে লেক ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

দেখুন ভিডিও। 

[আরও পড়ুন: ঘুরপথে কলকাতায় মাঙ্কিপক্স ঢুকছে না তো? জ্বর-মাথার যন্ত্রণায়ও আইসোলেশনের পরামর্শ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement