সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদ্বীপ সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। নয়াদিল্লির সঙ্গে মালের সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সেদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন। আর এর পর অবস্থান বদলে ভারতকে পুনরায় ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেন 'চিনপন্থী' মুইজ্জু। আর এতেই তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধান বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা শাহিদ। কারণ ক্ষমতায় এসে মুইজ্জুর ভারতবিরোধী অবস্থান। ভারত বিরোধীতার জেরে বিস্তর প্রভাব পড়েছে মালদ্বীপের অর্থনীতিতেও।
জয়শংকরের মালদ্বীপ সফরেই দুদেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ন্যাশনাল পেমেন্টর কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মলদ্বীপের অর্থনীতি উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মাধ্যমে সে দেশে ইউপিআই পরিষেবা চালু হতে চলেছে। এই সফরের মাঝেই মুইজ্জুর ভারতকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ ক্ষমতায় এসেই দেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিলেন ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। তার পর থেকে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় মালদ্বীপ। তার মাঝে আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে তাঁর সরকারের তিন মন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য। কিন্তু সেই মুইজ্জুই উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। এমনকী তিনি বৈঠকও করেন নমোর সঙ্গে। সাম্প্রতিককালে দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড হারে কমে গিয়েছে। দিল্লির কাছে ঋণের পরিমাণও বিপুল। এর ফলে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রের অন্দরে।
[আরও পড়ুন: আবাসন দুর্নীতির অভিযোগ, প্রাক্তন ISI প্রধানকে হেফাজতে নিল পাক সেনা]
এই পরিস্থিতিতে এমডিপি নেতা আবদুল্লা শাহিদ বলেন, "মুইজ্জু সরকারের পূর্বতন সিদ্ধান্ত, মিথ্যা বক্তব্য এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য মালদ্বীপের কূটনৈতিক অবস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।" প্রসঙ্গত, শনিবার সরকারি এক অনুষ্ঠানে মুইজ্জু বলেন, “ভারত সবসময় মালদ্বীপের খুব কাছের বন্ধু। এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। মালদ্বীপের যখনই প্রয়োজন পড়েছে তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।” দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার কথাও শোনা যায় মুইজ্জুর মুখে। ফলে আগামিদিনে ক্ষত মেরামত করে ভারত-মালদ্বীপের বন্ধুত্ব কতটা গভীর সেদিকেই নজর আন্তর্জাতিক মহলের।