গোবিন্দ রায়: এবার পার্শ্ব শিক্ষকদের (Para Teacher) বেতন কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। কীভাবে একজন অশিক্ষক কর্মীর (গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি) থেকেও একজন পার্শ্ব শিক্ষক কম বেতন পান, শুক্রবার তাই-ই জানতে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
একই সঙ্গে, বেতন কাঠামোতে এতো খামতি কীসের, এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এনিয়ে কেন্দ্র, সর্বশিক্ষা মিশন এবং রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। মামলায় অভিযোগ, মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে যে শিক্ষক সমাজকে গণ্য করা হয়, সেই শিক্ষক সমাজের সঙ্গে রয়েছে হাজারও বৈষম্য। পার্শ্ব শিক্ষক হওয়ার কারণে তাঁরা অশিক্ষক কর্মীদের থেকেও কম বেতন পান। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “কীভাবে একজন অশিক্ষক কর্মীর থেকে প্যারা টিচারদের কম বেতন পাচ্ছেন?”
[আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটিতে বাতিল ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’, বিকল্প ট্রেনে মালদহ গেলেন রাজ্যপাল]
রাজ্যের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি আরও জানতে চান, “কেন্দ্র যখন সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্পে ৬০ শতাংশ টাকা দেয়, তবে অন্য রাজ্যে প্যারা টিচারদের বেতন বেশি হলেও এই রাজ্যে কম কেন?” রাজ্য জানায়, “সর্বশিক্ষা মিশনের খাতে কেন্দ্র যে ৬০ শতাংশ টাকা দেয় তা ইতিমধ্যেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই বেতনের এই বৈষম্য।”
[আরও পড়ুন: বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নেমেই রেকর্ড, সোনা জয়ের আরও কাছে নীরজ]
পালটা জবাবে মামলাকারী আইনজীবীর জানান,”কেন্দ্র বরাদ্দ কমালেও, যেই টাকা রাজ্যে আসছে তার মধ্যে থেকেই বেতনে সমতা বজায় রাখতে পারে রাজ্য।” এরপরই কেন্দ্র, সর্বশিক্ষা মিশন ও রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।