রঞ্জন মহাপাত্র: বিস্ফোরণের পরই ভাইয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও সিআইডির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না। বুধবার ভোররাতে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের স্ত্রী গীতা বাগ। ওড়িশা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে খবর, ভানু বাগের মৃত্যুর পরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না গীতা বাগের। বাপের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন গীতা। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ওড়িশা থেকে পূর্ব মেদিনীপুর আনা হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর আজই তাঁকে আদালতে তোলার কথা।
[আরও পড়ুন: পাথিরানাকে খেলাতে ইচ্ছা করে সময় ‘চুরি’ করলেন ধোনি? প্লে অফের ম্যাচ ঘিরে বিতর্ক!]
এদিকে, স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের একাংশের দাবি, আগুনে পোড়ার তীব্র জ্বালা নিয়ে ভানুর বিধ্বস্ত কারখানার বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন কয়েকজন। অভিযোগ, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকা সেই মানুষগুলোকেই বাঁশ দিয়ে ঠেলে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল! বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন গৌরাঙ্গ মাইতি। যিনি নিজের ছেলে ও দাদাকে হারিয়েছেন! নিহত অলোক মাইতির বাবা গৌরাঙ্গ মাইতি বলেন, ‘আমি যখন দৌড়ে যাই তখন দেখি আগুনটা কমেছে। দেখি কালী বাগ, প্রসেনজিৎ বাগ, দু-চারজন বাঁচতে পারত, প্রমাণ লোপাটের জন্য জলে ফেলে দিয়েছে। দেখি, বাঁশ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ফেলছে। ও খুন করেছে। তারপর আমরা চিৎকার করে বলি, কী করছিস! তখন ও পালিয়ে যায়!’
অভিযোগের আঙুল ভানু বাগের মেজো ভাইয়ের বড় ছেলে প্রসেনজিৎ বাগের বিরুদ্ধে! প্রশ্ন উঠছে, প্রসেনজিৎ কেন বিস্ফোরণকাণ্ডে দগ্ধ কয়েকজনকে পুকুরে ফেলে দিতে যাবেন? তাহলে কি প্রমাণ লোপাটের ছক ছিল? এই উত্তরের খোঁজে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে প্রসেনজিতের ভূমিকা। চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, ঘটনার পর থেকে তাঁর যেমন খোঁজ মিলছে না, তেমনই হদিশ নেই প্রসেনজিতের ভাই চিরঞ্জিতেরও! সিআইডি সূত্রেই খবর, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, কাকা ভানুর বাজি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চিরঞ্জিৎ। তিনি নিজেও এই বিস্ফোরণে গুরুতর আহত।