বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: নির্বাচন কমিটির নয়া সিদ্ধান্তে ভাগ্য নির্ভর করছে অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি আর কতদিন প্রদেশ সভাপতি থাকবেন তা নির্ভর করছে নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবেন তার উপর। এআইসিসি সূত্রে খবর, গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ কেউ কংগ্রেস সভাপতি হলে অধীরই প্রদেশ সভাপতি থেকে যাবেন। অথবা তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকে প্রদেশের দায়িত্ব দেবেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীরা। কিন্তু অন্য কেউ সর্বভারতীয় সভাপতির চেয়ারে বসলে সরে যেতে হবে বর্তমান প্রদেশ সভাপতিকে। সেক্ষেত্রে শশী থারুরের মতো কেউ দায়িত্ব পেলেও অধীরের চেয়ার ধরে রাখা কঠিন। কারণ ব্যক্তিগতভাবে এঁদের বেশিরভাগই তাঁকে পছন্দ করেন না।
অক্টোবরে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। অসুস্থতার কারণে সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছেন। দায়িত্ব নিতে রাজি নয় পুত্র রাহুল গান্ধীও। দলের প্রবীণ নেতাদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতির দায়িত্বে বসাতে চাইছেন সোনিয়া ও রাহুল (Rahul Gandhi)। নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে গান্ধী পরিবার দূরত্ব তৈরি করায় সক্রিয় হয়েছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। এতদিন ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবিতে সরব ছিলেন আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, মুকুল ওয়াসনিকরা। আপাতত সেই সমস্যা মিটেছে।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্টের নির্দেশে শুরু নিয়োগ, ১৮৭ জনকে ইন্টারভিউর ডাক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের]
অধীর নিজেই প্রদেশের দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে সোনিয়ার কাছে তদ্বির করেন। কিন্তু আপাতত দায়িত্ব সামলাতে নির্দেশ দেন সভানেত্রী। তবে পরবর্তী সভাপতি হিসাবে অধীর উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের দুই নেতার নাম প্রস্তাব করেন বলে খবর। কিন্তু অধীরের ইচ্ছা-অনিচ্ছা সবই নির্ভর করবে নয়া সভাপতির উপর। তিনি বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের অপছন্দের। ফলে প্রদেশ সভাপতি হিসাবে তার প্রস্তাবিত নাম গৃহীত হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: পুজোয় মিলবে বাড়তি পরিষেবা, একঝলকে দেখে নিন মেট্রোর সময়সূচি]
এদিকে আজ, শনিবার কলকাতায় যাচ্ছেন কংগ্রেসের দুই হেভিওয়াট নেতা জয়রাম রমেশ ও দিগ্ববিজয় সিং। ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসাবে উত্তর পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারত পর্যন্ত পদযাত্রা করার পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসের। বাস্তবে তা সম্ভব কিনা বাংলার নেতাদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা এই দুই নেতার।