সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেছে কর্ণাটক (Karnataka) সরকার। তার পালটা দিয়ে কংগ্রেস (Congress) ঘোষণা করল, ক্ষমতায় এলেই মুসলিমদের সংরক্ষণ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ আসন মুসলিম (Muslim) নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকত। কিন্তু সেই আসন সমান ভাবে ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েতদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মধ্যেই মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটকের বিজেপি (BJP) সরকার। এই পদক্ষেপকে সংবিধান বিরোধী আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কর্ণাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার বলেন, “সরকার ভাবছে সংরক্ষণ ব্যবস্থাটা আসলে ওদের সম্পত্তি, যেমন খুশি বিতরণ করা যায়। কিন্তু সংরক্ষণ ব্যবস্থা আসলে সংখ্যালঘুদের অধিকার। তারা আমাদের ভাই, পরিবারের সদস্য। ওবিসি তালিকা থেকে মুসলিমদের বাদ দেওয়ার কোনও যুক্তিই হয় না।”
[আরও পড়ুন: নতুন জার্সি উন্মোচনের দিনই নাইট শিবিরে ফের ধাক্কা, এবার অনিশ্চিত এই তারকা পেসার]
মে মাসের বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পাওয়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। শিবকুমার সাফ জানিয়ে দিলেন, “৪৫ দিনের মধ্যে কর্ণাটকে সরকার গড়বে কংগ্রেস। তারপরেই মুসলিমদের সংরক্ষণ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। নতুন সরকার গঠনের পরে যে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক হবে, সেখানেই মুসলিমদের সংরক্ষণ কার্যকর হবে।”
সংখ্যালঘুদের মন পেতেই ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েতদের বিশেষ সংরক্ষণ দিয়েছে বিজেপি সরকার, এই দাবিতে সরব হয়েছে কংগ্রেস। তাদের মতে, এই সংরক্ষণে খুশি নয় ওই দুই সম্প্রদায়ও। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে দেশের যেকোনও রাজ্যে সংরক্ষণের সর্বোচ্চ হার ৫০ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা ৫৬ শতাংশ করে শীর্ষ আদালতের সুপারিশ অমান্য করেছে কর্ণাটক, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।