সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরদিনই বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। AICC সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করে ফের মোদি-আদানির (Gautam Adani) সম্পর্ক নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার দাবি, আদানি ইস্যুতে তাঁর ভাষণে ভীত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে তাঁর নামে মিথ্যাচার থেকে শুরু করে সাংসদ পদ খারিজ, সবটাই শুধু আদানি ইস্যুতে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র।
রাহুলের সাফ কথা, কোনও কিছু করেই আমাকে চুপ করানো যাবে না। আমি আদানি-মোদির (Narendra Modi) সম্পর্ক নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছি। এবং তুলতে থাকবে। কংগ্রেস নেতা বলছেন, আমি এসবে ভয় পাই না। ওরা আজও আমাকে বুঝতে পারিনি। এভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না। কংগ্রেস (Congress) নেতার দৃঢ় ঘোষণা, এভাবে আমাকে আটকানো যাবে না। আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরানো যাবে না। আমি বারবার প্রশ্ন করব, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানির সম্পর্ক কী? এটা পুরনো সম্পর্ক, মোদি-আদানির বন্ধুত্ব পুরনো। নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন থেকে এই বন্ধুত্ব।
[আরও পড়ুন: ‘গান্ধীবাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের নিন্দায় মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য]
কংগ্রেস নেতার দাবি, সংসদে এরপর তিনি কী বলবেন, সেটা ভেবেই ভীত সরকার। তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর চোখে আমি সেই ভয় দেখেছি। আমাকে বদনাম করার চেষ্টা, থেকে শুরু করে সাংসদ পদ খারিজ, সবটাই আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। সাংসদ পদ খারিজ করে বা জেলে পাঠিয়ে তাঁকে ভয় দেখানো যাবে না এটা বোঝাতে গিয়ে কংগ্রেস নেতার বক্তব্য,”আমি শুধু সত্য নিয়ে চিন্তিত। সত্য প্রকাশ করাই আমার কাজ। আমি যদি সাংসদ না থাকি বা আমাকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, তাও এই কাজ আমি করে যাব।” মোদি মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, “আমার নাম সাভারকর নয়, আমার নাম গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইব না। গান্ধীরা ক্ষমা চায় না।”
[আরও পড়ুন: রাহুলের সাজা হওয়ার পরই ফিরল ৪৫ বছর পুরনো স্মৃতি, ঠাকুরমা ইন্দিরাও গিয়েছিলেন জেলে]
এদিনও আদানি (Adani) ইস্যুতে দুটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, আদানির বিভিন্ন শেল কোম্পানিতে অজ্ঞাতপরিচয় সংস্থা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সেই টাকা কার? এই টাকা আদানির নয়, তাহলে কে বিনিয়োগ করল? চিনা নাগরিকের সঙ্গে এর যোগ আছে। রাহুলের আরও অভিযোগ, আদানিদের বিমানবন্দর হস্তান্তর করার জন্য নিয়ম বদলানো হয়েছে। এসব নিয়ে প্রশ্ন করাতেই সংসদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রাহুলের।