দুলাল দে: গত মরশুমে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে বসে এক ঝাঁক প্রতিশ্রুতির কথা শুনিয়েছিলেন কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তার আগের মরশুমের থেকে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) যে দারুণ জায়গায় নিয়ে যাবেন তিনি নিশ্চিত। মরশুম যত গড়িয়েছে, ফুটবলার নেই। আরও অনেক কিছু নেই-নেই বলে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) একদম মাটিতে পা রেখে কথা বললেন। সে ডার্বি নিয়ে হোক বা ট্রফি। সাম্প্রতিককালে ব্যর্থতার যে রেশ চলছে লাল-হলুদে তা নিয়ে লাল-হলুদের নতুন কোচ কুয়াদ্রাত বললেন, “সবই বুঝতে পারছি। আমি শুধু বলতে চাই, শূন্য থেকে শুরু করছি। তাই সমর্থকদের আমাদের উপরে ভরসা রাখতেই হবে।”
[আরও পড়ুন: রেসের মাঠেই মৃত্যু! মাত্র ১৩ বছরেই জীবন শেষ উদীয়মান বাইক রেসারের]
যেদিন কলকাতায় পা রাখেন, সেদিন থেকেই লাল-হলুদ সমর্থকরা প্রায় কাকুতি মিনতির ঢঙয়ে কুয়াদ্রাতের কাছে সাফল্য চেয়েছেন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেন, ‘‘সমর্থকদের সঙ্গে দেখা হলেই ডার্বি জেতার কথা বলছেন। বুঝতে পারছি ওদের চাপটা। দেখুন, পৃথিবীর সব দেশেই এই ডার্বি নিয়ে লড়াইটা থাকে। কিন্তু পাশাপাশি দেখতে হবে, মোহনবাগান এএফসি খেলার লক্ষ্য নিয়ে একটা দল তৈরি করেছে। সেখানে আমাদের প্রায় নতুন দল। সেট করতে সময় লাগবে। সেই কারণেই সমর্থকদের বলছি, আমাদের ফুটবলারদের উপর ভরসা রাখুন। মাঠের ভিতরে, মাঠের বাইরে সবাই মিলে চেষ্টা করলে, নিশ্চই ভাল কিছু করা সম্ভব হবে।’’ কলকাতায় এসে প্র্যাকটিসে নেমে পড়লেও এতদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। এদিন ইমামির আর্ট সেন্টারে নির্দিষ্ট কিছু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আর সেখানেই ডুরান্ডের (Durand Cup) জন্য ফুটবলারদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, ১২ আগস্ট ডার্বির দল নিয়েও তাঁর যথেষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।
আইএসএলের অনেক দল যেখানে ডুরান্ডে রিজার্ভ দলের উপরেই ভরসা রাখছেন, সেখানে কুয়াদ্রাত পরিস্কার জানিয়ে দিলেন, ‘‘রবিবার বংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে এক-দু’জন সিনিয়র ফুটবলারও থাকতে পারে। যারা গত বছরও দলে ছিল।’’ ডুরান্ডের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে ক্লেইটন, সিভেরিও, বোরহা, ক্রেসপো সবাইকেই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, ডার্বির দিন যে দল নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চান না, তা পরিস্কার। তবে ডার্বির প্রসঙ্গে এদিন শুধু বললেন, ‘‘আগে বাংলাদেশ দলটা নিয়ে ভাবছি। তারপর ডার্বি নিয়ে ভাবা যাবে।’’ আর ডুরান্ডে রবিবারের প্রতিপক্ষ নিয়ে বললেন, ‘‘বাংলাদেশের খেলা দেখেছি। সেদিন মোহনবাগান গোলকিপার অনেকগুলি সেভ না করলে কিন্তু ম্যাচের ফল অন্যরকমও হতে পারত। তবে আমরা ম্যাচটা ভাল খেলার চেষ্টা অবশ্যই করব।’’