অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: চলতি বছরের শেষেই হাওড়া (Howrah) ময়দান থেকে চালু হয়ে যেতে পারে মেট্রো পরিষেবা। আর তাই হাওড়া ময়দান ও বঙ্গবাসী চত্বরে যানজট এড়াতে মঙ্গলাহাট সোম ও মঙ্গলবার কাজের দিনের পরিবর্তে শনি ও রবিবার ছুটির দিনে করার প্রস্তাব দিল হাওড়া পুরসভা।
শুক্রবার হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানান, ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের সবস্তরেই এ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসনের যুক্তি, বঙ্গবাসী বা হাওড়া ময়দান চত্বরে যেখানে মঙ্গলাহাট বসে সেখানে স্কুল, কলেজ, হাওড়া জেলা হাসপাতাল, জেলাশাসকের দপ্তর -সহ জেলা প্রশাসনের অনেক সদর দপ্তর রয়েছে। এমনিতেই সোম ও মঙ্গলবারে হাটবারে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজট হয়। বঙ্কিম সেতুর নিচে মহাত্মা গান্ধী রোড এমনকী জিটি রোড, হাওড়া গার্লস কলেজের সামনে রাস্তায় বসে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জামাকাপড় বিক্রি করেন। ফলে যানজটে এখান দিয়ে চলাফেরা করাই কার্যত দায় হয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলা: দোষী ৮ জনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আমতা আদালত]
এর পর হাওড়া ময়দান থেকে মেট্রো চালু হলে কাজের দিন প্রচুর যাত্রী মেট্রো ধরে যাতায়াত করবেন। ফলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। কারণ হাওড়া ময়দান দিয়ে কলকাতাগামী প্রচুর বাস, গাড়ি যেমন চলাচল করে তেমনই বঙ্গবাসী মোড়ে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড। তাই এই যানজট এড়াতেই কাজের দিনের পরিবর্তে শনি ও রবিবার ছুটির দিন হাট ব্যবসায়ীদের হাটে বসার প্রস্তাব দিচ্ছে জেলা প্রশাসন তথা হাওড়া পুরসভা।
পশ্চিমবঙ্গ বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পরিমল রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রশাসনের সঙ্গে সংগঠনের কোনও কথা হয়নি। অনেক আলোচনা করেই তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রশাসনকে। কারণ সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার বস্ত্র ব্যবসায়ী মঙ্গলাহাটে এসে জামাকাপড় বিক্রি করেন।’’
হাট ব্যবসায়ীদের আরেকটি সংগঠন হাওড়া হাট ব্যবসায়ী সমন্বয় কমিটির তরফে কানাই পোদ্দারের কথায়, ‘‘প্রাথমিকভাবে পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক আমাদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে আলোচনা চাইলে আমরা এ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’’ মঙ্গলাহাটে অনেক হাট বিল্ডিং যেমন রয়েছে তেমন রাস্তায় বসে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাও রয়েছেন কয়েক হাজার। রবিবার ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় মঙ্গলাহাট। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে হাট।