সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিম্নচাপ কাটতেই শীতের আমেজ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। সকাল থেকে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। বাতাসে যেন শীতের টান। তবে এখনই শীত আসছে না। এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।
[মাথায় ঘোমটা দিয়ে এই পুজোয় বরণের ডালা তোলেন পুরুষরাই]
আশ্বিন জুড়ে পরপর নিম্নচাপ, কার্তিকের শুরুতেও বৃষ্টি। হেমন্তের শুরুতে হিম কোথায় গেল। এই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক শীতবিলাসী। সেই কৌতুহলের জবাব খানিকটা মিলল মঙ্গলবার ভোরে। এক ধাক্কায় পারদ অনেকটা নেমে যাওয়ায়। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৫ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২৯.১ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। কৃষ্ণনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি, আসানসোল ১৯ এবং বাঁকুড়া ২০ ডিগ্রি। এমনকী শৈলশহর দার্জিলিংয়ের পারদ নেমে যায় ৬ ডিগ্রিতে। আবহাওয়ার এই ভোলবদল কি শীতের আগমনীর সুর? এই জল্পনায় আপাতত দাঁড়ি টানার পক্ষপাতী হাওয়া অফিস। তাদের বক্তব্য, বর্ষা চলে গেলেও বাতাসে আদ্রর্তার মাত্রা এখনও ভালমতো রয়েছে। এই মুহূর্তে যে শীত শীত পরিস্থিতি তা কয়েক দিন থাকবে। জেলাগুলির তাপমাত্রা ২০-২১ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। আপাতত বেশ কয়েক দিন সকাল-সন্ধ্যা বজায় থাকবে এমন ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। তবে এখনই শীত এল, এমনটা বলতে নারাজ হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দপ্তরের ব্যাখ্যা, নিম্নচাপ সরে যাওয়ায় পরিষ্কার আকাশ দেখা দিয়েছে এবং তার ফলেই মিলছে শীতের অনুভূতি। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এদিন ভোরে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় কুয়াশার দাপট দেখা যায়। যার জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল। সামান্য কুয়াশা থাকলেও কলকাতা বিমানবন্দরে এদিন সকাল থেকে বিমান ঠিক সময়ে ওঠা-নামা করেছে।
[অষ্টধাতুর মূর্তি রাতারাতি হয়েছে সোনার, গুজবে চাঞ্চল্য ফরাক্কায়]
আবহবিদদের বক্তব্য, বর্ষা বিদায় নিলেও বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা যথেষ্ট বেশি। গভীর রাতের দিকে তাপমাত্রা অনেকটা নেমে যাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে কুয়াশা তৈরি করছে। এই কুয়াশা একটানা স্থায়ী হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত মাঝ কার্তিকে বাতাসে শীতের টান ভালমতো উপভোগ করছেন রাজ্যবাসী।
The post সকাল থেকে ঠান্ডার আমেজ, শীত কি দুয়ারে? appeared first on Sangbad Pratidin.